আজকাল ওয়েবডেস্ক: শ্বশুরবাড়িতে পা রেখেই শরীরে অস্বস্তি শুরু হয়েছিল নববধূর। প্রথমে কাউকেই কিছু জানাননি। কয়েক ঘণ্টা বরের কানে কানে বলেছিলেন, তাঁর মাথা ঘোরাচ্ছে। অস্বস্তি হচ্ছে। কখনও কখনও বমি বমি ভাব দেখা দিচ্ছে। শুনেই চমকে ওঠেন বর। বন্ধুদের জানান সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীর অসুস্থতার কথা। 

বন্ধুদের থেকে পরামর্শ পেয়েই কেলেঙ্কারি ঘটান যুবক। ফুলশয্যার রাতে দরজা বন্ধ করে, চুপিসারে তিনি যা ঘটালেন, তা দেখেই রেগে আগুন নববধূ। দু'জনের ঝামেলা শুধু আর ঘরের মধ্যে আটকে থাকেনি। দুই পরিবারের মধ্যেও ঝামেলা শুরু হয়। শেষমেশ গ্রামবাসীরাও তাতে অংশ নেন! 

শুধু কি তাই! যুবকের কীর্তিতে গ্রামের মধ্যে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীর কাছে সকলের সামনে ক্ষমা চান তিনি। ভবিষ্যতে এমন ভুল আর করবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাই আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের রামপুর জেলায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছে ১২ জুলাই। ওইদিন শ্বশুরবাড়িতে পা রাখেন নববধূ। তার আগেরদিন ছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। শ্বশুরবাড়িতে এসেই অসুস্থ বোধ করেন তিনি। বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরানোর মতো সমস্যা পোহাতে হচ্ছিল তাঁকে। 

আরও পড়ুন: সোনায় সুখবর! হু হু করে কমল দাম, আজ ২২ ক্যারাটের দরেও বিরাট চমক

বিষয়টি আর না লুকিয়ে, স্বামীকে জানিয়েছিলেন তরুণী। ভেবেছিলেন, স্বামী হয়তো উপযুক্ত ওষুধ দিয়ে তাঁকে সাহায্য করবেন। এদিকে সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীর অসুস্থতার খবর শুনেই বন্ধুদের জানিয়ে দেন যুবক। এরপর গ্রামের এক দোকান থেকে একটি প্রেগনেন্সি পরীক্ষার কিট কিনে আনেন। ফুলশয্যার রাতে প্রেগনেন্সি পরীক্ষার কিট স্ত্রীর হাতে দেন। যুবক বলেন, স্ত্রী হয়তো অন্তঃসত্ত্বা। সেই কারণেই মাথা ঘোরাচ্ছে! 

স্বামীর এহেন কাণ্ডে রেগে লাল হয়ে যান তরুণী। সঙ্গে সঙ্গে ডেকে পাঠান ননদকে। তাঁর কাছেই প্রথমে ফাঁস করেন, মাথা ঘোরাচ্ছে শুনে বরং তাঁকে প্রেগনেন্সি পরীক্ষার কিট দিয়েছেন। তাঁর নাকি ধারণা, তিনি অন্তঃসত্ত্বা। সেই কারণেই মাথা ঘোরাচ্ছে তাঁর। অতএব, তাঁর বরের ধারণা তিনি অন্য কোনও সম্পর্কে জড়িত। অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন।‌ চরিত্র নিয়ে সন্দেহ হওয়াতেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। 

ফুলশয্যার রাতে দু'জনের মধ্যে ঝামেলার কথা জানাজানি হয়ে যায় দুই পরিবারের মধ্যে। এরপর গ্রামেই দুই পক্ষ বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। গ্রামবাসীরা বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য হস্তক্ষেপ করেন। পঞ্চায়েতে বৈঠক ডাকা হয়। সেই বৈঠক নবদম্পতি এবং তাদের পরিবার উপস্থিত ছিল। টানা দু'ঘণ্টা সেই বৈঠক চলে। অবশেষে সকলের সামনে যুবক ক্ষমা চান। জানান, ভবিষ্যতে এমন ভুল তিনি আর করবেন না। সঙ্গে এও জানান, স্ত্রীর মাথা ঘোরাচ্ছে শুনে বন্ধুরাই বলেছিলেন, এটি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার লক্ষণ। তাই বন্ধুদের পরামর্শেই তিনি এই কাজ করেছেন। 

এদিকে জানা গেছে, ঘটনার দিন ভ্যাপসা গরম ছিল। বিয়ের পোশাকেই একগুচ্ছ আচার, রীতি সারতে সারতেই নববধূ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। শ্বশুরবাড়িতে পা রেখেই একাধিক নিয়ম তাঁকে পালন করতে হয়েছিল। একটানা এত ধকল আর সহ্য করতে পারেননি তিনি। সেই কারণেই অস্বস্তি বোধ করছিলেন। মাথা ঘোরাচ্ছিল তাঁর।