আজকাল ওয়েবডেস্ক: গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হানার পরেই ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছিল। পাল্টা প্রত্যাঘাতে অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা। শুক্রবার ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ভারতীয় সেনার ডেপুটি চিফ অফ আর্মি স্টাফ (ক্ষমতা উন্নয়ন এবং ভরণপোষণ) লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাহুল আর সিং পাকিস্তানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সীমান্ত উত্তেজনার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়েছেন। 

এদিন তিনি বলেন, পাকিস্তান এবং চীনের মধ্যে জোট এমনই যে চীন এখন ভারতের "ব্যাকডোর প্রতিপক্ষ" হয়ে উঠেছে এবং পাকিস্তানকে অস্ত্র ও সামরিক ব্যবস্থা পরীক্ষার জন্য একটি পরীক্ষাগারে পরিণত করেছে। তিনি আরও বলেন, মে মাসের সংঘাতে তুরস্কও পাকিস্তানকে সমর্থন করায় ভারতকে পশ্চিম সীমান্তে এখন একটি নয় তিনটি প্রতিপক্ষের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে, পাকিস্তান চীনা ও তুর্কি অস্ত্র ও সামরিক ব্যবস্থার উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল ছিল। পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে চীনের পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র, জে-১০ এবং জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান, এইচকিউ-৯ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং তুরস্কের ড্রোন ব্যবহার করেছিল।

তিনি বলেন, "আমাদের একটি সীমান্ত এবং দু’টি প্রতিপক্ষ ছিল- আসলে তিনটি। পাকিস্তান সামনে ছিল। চীন সম্ভাব্য সকল সহায়তা প্রদান করছিল- পাকিস্তানের ৮১ শতাংশ সামরিক সরঞ্জাম চীনে তৈরি। চীন অন্যান্য অস্ত্রের বিরুদ্ধে তার অস্ত্র পরীক্ষা করতে সক্ষম। তাই পাকিস্তান তাদের জন্য একটি গবেষণাগারের মতো। তুরস্কও নানা ধরণের সহায়তা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।“

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রিপোর্ট (SIPRI) অনুযায়ী, ২০১৫ সাল থেকে পাকিস্তান চীনের কাছে ৮.২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র কিনেছে। ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে, চীন বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে স্থান পেয়েছে। এই রপ্তানির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ বা ৬৩ শতাংশ পাকিস্তানে গিয়েছে। যার ফলে ইসলামাবাদ চীনের বৃহত্তম অস্ত্রের গ্রাহক হয়ে উঠেছে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিআইএ) এর ২০২৫ সালের সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ভারত চীনকে তার ‘প্রধান প্রতিপক্ষ’ হিসেবে বিবেচনা করে। অন্যদিকে, পাকিস্তানকে ‘নিরাপত্তাজনিত সমস্যা’ হিসেবে বিবেচনা করে।