আজকাল ওয়েবডেস্ক: দাম বাড়তে পারে সিগারেটের ? এই প্রশ্ন এখন ঘোরাফেরা করছে সর্বত্র। বর্তমানে সিগারেটের উপর ২৮ শতাংশ জিএসটি ধার্য করা হয়েছে। তবে যদি জিএসটি বাড়ে তাহলে সেখান থেকে দ্রুত বাড়তে পারে সিগারেটের দাম। এই জিএসটি যদি ৫৩ শতাংশ হয়ে যায় তাহলে সিগারেটের দাম অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
 
 তামাকজাত দ্রব্যের উপরে বরাবরই কড়া নজর রেখেছে সরকার। সেখানে এই জিনিসের উপর ফের বাড়তি জিএসটি চাপতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করছে জিএসটি কাউন্সিল। তারা যে রিপোর্ট জমা দেবে তার উপরই সিগারেটের উপর জিএসটি নিয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে।
 
 যদিও তামাকজাত দ্রব্য থেকে সরকারের ঘরে বিরাট টাকা আসে। ২০২২ থেকে শুরু করে ২০২৩ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের ঘরে ৭২ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা এসেছে। আগামীদিনে এই অর্থের পরিমান বাড়তে পারে বলেই খবর। বেশ কয়েকটি জিনিসের উপর জিএসটি বাড়ানো হতে পারে বলেই খবর মিলেছে। সেখানে সিগারেটের নামও রয়েছে। 
 
 এখানে বেশ কয়েকটি রাস্তা রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। তারা সিগারেটের উপর যদি জিএসটি বাড়িয়ে দেয় তাহলে সেখান থেকে আয়ের হার বাড়বে। অন্যদিকে যদি স্বাস্থ্যের দিকটি দেখা যায় তাহলে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র আরও কড় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। হু বর্তমানে তামাতজাত দ্রব্যের উপর ৭৫ শতাংশ করে কর আরোপ করতে বলেছে। সেখানে ভারতে করের হার অনেকটাই কম রয়েছে।  
 
 তামাকজাত দ্রব্যের উপর ক্ষতিপূরণ সেস বর্তমানে ৫%, এবং এর সঙ্গে প্রতি ১০০০ সিগার বা সিগারেটের জন্য ২,০৭৬ টাকা থেকে ৪,১৭০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত নির্দিষ্ট কর আরোপ করা হয়, যা তাদের দৈর্ঘ্য, ফিল্টার এবং স্বাদের উপর নির্ভর করে।
 
 জিএসটি কাউন্সিল এর আগে তামাকজাত দ্রব্যের উপর কর পর্যালোচনা করার জন্য তৎকালীন ওড়িশার অর্থমন্ত্রী নিরঞ্জন পূজারী'র নেতৃত্বে একটি মন্ত্রিগোষ্ঠী গঠন করেছিল। তবে সিগারেটের দাম কতটা বাড়বে তা নিয়ে এখনই স্থির কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। 
 
 তবে যদি সিগারেটের দাম বাড়ে তাহলে সেখানে একটু হলেও সমস্যায় পড়বেন সাধারণ মানুষ। যারা ধূমপান করেন তারা কীভাবে এর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানাবেন সেটাই দেখার। 
