আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে ভয়াবহ ঘটনা। হুক্কা বারে দ্বাদশ শ্রেণির তরুণীকে মাদক মিশ্রিত ঠাণ্ডা পানীয় খাইয়ে সাতদিন আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল ২৩ জনের বিরুদ্ধে! অভিযুক্তদের ১৭ জন ফেরার, গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬ জনকে।
গত ২৯ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিলের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। ডিসিপি বরুণ জোন চন্দ্রকান্ত মীনার কথায়, "নির্যাতিতা একটি ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। নিয়মিত দৌড় অনুশীলনের জন্য ইউপি কলেজে যেতেন তিনি। ২৯ মার্চ এক বন্ধুর সঙ্গে বারাণসীর পিশাচমোচন এলাকার একটি হুক্কা বারে গিয়েছিলেন নির্যাতিতা তরুণী। তারপর থেকেই তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। গোপন জবানবন্দিতে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, ২৯ মার্চ এক বন্ধু তাঁকে একটি হুক্কা বারে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে আরও কয়েক জন যুবক ছিলেন। কথা বলার সময় কোনও ভাবে তাঁর নরম পানীয়ে মাদক মিশিয়ে দেন যুবকদের এক জন। মাদকের প্রভাবে প্রায় অচেতন হয়ে পড়েন তরুণী। এরপর সাত দিন ধরে সিগ্রা এলাকার বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে একে একে ধর্ষণ করেন অন্তত ২৩ জন যুবক। অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েক জন তরুণীর পূর্বপরিচিত ছিলেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ। তরুণীর সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম পরিচিয় হয়েছিল কয়েকজন বন্ধুর, এছাড়াও ছিলেন বেশ কয়েকজন সহপাঠী।"
মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে নির্যাতিতার পরিবার ৪ঠা এপ্রিল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তল্লাশিতে নেমেই তরুণীকে খুঁজে পায় পুলিশ। তবে সেই সময়ে, তরুণী বা তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে যৌন নির্যাতনের কোনও অভিযোগ করা হয়নি। এরপর ২৯ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিলের মধ্যে সমগঠিত গণধর্ষণের ঘটনায় ৬ এপ্রিল লালপুর থানায় একটি অভিযোগ জমা পড়ে।
তদন্তে নেমেই প্রথমে ছ'জনকে আটক করে পুলিশ। হুক্কা বারের কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে, এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ডিসিপি মীনা আরও স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, কিছু মিডিয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে যে মেয়েটি নাবালিকা নয়।
