আজকাল ওয়েবডেস্ক: জেডিএসের প্রাক্তন সাংসদ প্রজ্জ্বল রেভান্ন ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলেন। তার বিরুদ্ধে বহুদিন ধরেই এই মামলাটি চলছিল। এই মামলার ১৪ মাস পর এই রায় দিল আদালত। যে গতিতে এই মামলাটি চলেছিল সেখান থেকে বহু রাজনৈতিক টানাপোড়েন এর সঙ্গী ছিল। তবে অবশেষে রেভান্নকে দোষী সাব্যস্ত করল বেঙ্গালুরু আদালত। 


এই ঘোষণার পরই আদালত চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন এই প্রাক্তন সাংসদ। তিনি এই সিদ্ধান্তকে একেবারে সঠিক নয় বলেই দাবি করতে থাকেন। এই মামলার প্রথম তদন্ত শুরু করে সাইবার ক্রাইম স্টেশন। তারা এই ঘটনার ভিডিওর সত্যতা যাচাই নিয়ে নিজেদের তথ্য আদালতে ইতিমধ্যে জমা দিয়েছে।


যেভাবে এই কাজটি করা হয়েছে তার বেশ কিছু প্রমাণ আদালতে জমা পড়েছিল। পাশাপাশি ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা তাদের যে রিপোর্ট দিয়েছিল সেখান থেকে সমস্ত কিছুই রেভান্নর বিপরীতে যায়। 


এই মামলাটি জারি করা হয় ভারতীয় পিনাল কোডের ধারা অনুসারে। ঘটনাস্থল থেকে সিআইডি-র বিশেষ দল ১২৩ টি প্রমাণকে যোগাড় করে তার তথ্য আদালতে জমা দেয়। এরপরই তারা রেভান্নর বিরুদ্ধে ২ হাজার পাতার একটি চার্জশিট দাখিল করে।


এই মামলার শুনানি শুরু হয় ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর। বিগত সাত মাসে এই মামলাতে ২৩ জন সাক্ষীর বয়ান আদালত নথিভুক্ত করেছে। সেখানে সমস্ত ভিডিও ক্লিপ থকে শুরু করে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের রিপোর্টকেও দেখা হয়েছে। এই মামলার রায়দান হবে শনিবার।


২০২৪ সালের ১ মে গ্রেপ্তার হওয়া দেবেগৌড়ার নাতির বিরুদ্ধে রুজু হয়েছিল চতুর্থ মামলা। যৌন নির্যাতন, পিছু নেওয়া ও ভয় দেখানোর মতো ধারা যুক্ত রয়েছে এই মামলায়। একটি ভিডিও কল রেকর্ড করা ও তা শেয়ার করার অভিযোগ ওঠার পরই এই নয়া মামলা রুজু হয়েছে প্রজ্জ্বলের বিরুদ্ধে।
প্রজ্জ্বলের একাধিক অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল নেটদুনিয়ায়। অভিযোগ ওঠে, তাঁর বাড়ির পরিচারিকাদের টানা তিন বছর ধরে যৌন হেনস্তা করেছেন প্রজ্জ্বল । তদন্ত শুরু হতেই দেশ ছেড়ে পালান তিনি। আদৌ দেশে ফিরবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় ছিল। দুবার টিকিট কেটেও তা বাতিল করে দিতে দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু তিনি আগাম জামিনের আবেদন করার পর থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায় এবার সম্ভবত তিনি ফিরছেনই। 

আরও পড়ুন: পুজোর আগে কমে গেল গ্যাসের দাম, দেখে নিন কত হল


এরপর মাঝরাতে কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দরে তিনি পৌঁছলে সেখানে তাঁকে গ্রেপ্তার করে তিন মহিলা পুলিশ সদস্যের এক দল। এদিকে যৌন নিগ্রহের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় প্রজ্জ্বল রেভান্নার দাদা সুরজ রেভান্নাকেও। চেতন কে এস নামে এক ব্যক্তিকে উলঙ্গ করে যৌন হেনস্তায় অভিযুক্ত তিনি। এক নির্যাতিতাকে অপহরণের অভিযোগে প্রজ্জ্বল-সুরজের বাবা এইচ ডি রেভান্নাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে তিনি পরে জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন।


তবে আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রজ্জ্বল রেভান্নর রাজনৈতিক কেরিয়ার যে প্রায় শেষের দিকে সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না। এবার তিনি এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যান কিনা সেটাই দেখার।