আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিওয়ালি বা দীপাবলি আলোর উৎসব। রামায়ণ অনুসারে, এই দিন রামচন্দ্র লঙ্কা জয় করে সীতাকে নিয়ে অযোধ্যায় এসেছিলেন। প্রিয় রাজাকে স্বাগতম জানাতে অযোধ্যাবাসী আলো দিয়ে সাজিয়েছিল। অন্যদিকে প্রচলিত, এই দিন মৃত পূর্বপুরুষরা আলোর রেখা বেয়ে ফিরে যান প্রেতলোকে। অনেকে এই দিন ধন-সম্পদ বৃদ্ধির আশায় দেবী লক্ষ্মীর পুজো করে থাকেন।
আলোর এই উৎসব যা অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে পালিত হয়। এটি মূলত নির্ভর করে চাঁদের গতি বা তিথির উপর। সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে উদযাপিত হয় এই উৎসব। শুধু হিন্দুরা নন, বৌদ্ধ, জৈন এবং শিখ সম্প্রদায়ের লোকেরাও পালন করে থাকেন এই উৎসব। এ বছর দীপাবলি পড়েছে ৩১ অক্টোবর।
জৈন ধর্মে, দীপাবলি ২৪ তম তীর্থঙ্কর বা আধ্যাত্মিক গুরু ভগবান মহাবীরের মোক্ষ বা মুক্তির দিন হিসেবে স্মরন করা হয়। জৈন ধর্ম অনুসারে, মহাবীর ৫২৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে দীপাবলির দিনে জ্ঞান লাভ করেছিলেন। এই উত্সবটি জৈনদের জন্য অহিংসা, আত্ম-শৃঙ্খলা এবং ত্যাগের পথ অবলম্বন করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এই সম্প্রদায়ের মানুষ এই দিন উপবাস এবং প্রার্থনা করেন পুনর্জন্মের চক্র থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য।
শিখরা দীপাবলির সময়ে বান্দি ছোড় দিবস বা মুক্তির দিন উদযাপন করে, মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের কারাগার থেকে ষষ্ঠ শিখ গুরু হরগোবিন্দ সিং -এর মুক্তির স্মরণে। শিখদের মতে, গুরু হরগোবিন্দ সিং এই দিন মুক্তি পেয়ে আরও ৫২ জন বন্দী রাজাকে নিয়ে অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে ফিরে এসেছিলেন। শিখধর্মে দীপাবলি তাই স্বাধীনতার উদযাপন, সঙ্গে সহানুভূতি, সাহসিকতাকে স্মরণ করা।
বৌদ্ধ ধর্মমতে, দিওয়ালির দিন সম্রাট অশোক বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত হন। চন্ডাশোক পরিণত হন ধর্মাশোকে। অশোক ছিলেন একজন নির্মম শাসক, যিনি যুদ্ধের ধ্বংসলীলা দেখে শান্তি ও আধ্যাত্মিক উন্নতির পথ বেছে নিয়েছিলেন। তাই বৌদ্ধরা এই দিন প্রদীপ জ্বালিয়ে স্মরণ করেন।
