আজকাল ওয়েবডেস্ক: পরকীয়া সন্দেহের জেরে একের পর এক আক্রমন, খুন৷ এবার তেমনই এক হাড়হিম ঘটনা ঘটল বিজেপিশাসিত রাজ্যে। পরকীয়া সন্দেহের জেরে দিওয়ালির রাতেই স্বামীর উপর নৃশংস হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তাঁরই স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটে। এই ঘটনায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। অভিযোগ, প্রথমে স্বামীর গায়ে ফুটন্ত জল ঢালা হয়, তার পর ছেটানো হয় অ্যাসিড। ঘটনা ঘিরে তুমুল উত্তেজনা এলাকায়। 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্র অনুযায়ী খবর পাওয়া গিয়েছে, ব্যক্তির নাম রনক। বয়স আনুমানিক ৩৩। খবর অনুযায়ী, গুরুতর জখম অবস্থায় রনককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার জেরে অভিযুক্ত স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

রনক স্যাটেলাইট এলাকার বাসিন্দা এবং পেশায় এক জন ফুড ডেলিভারি এজেন্ট। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, গত এক বছর ধরেই তাঁর স্ত্রী প্রায়শই নানা বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে অশান্তি করতেন।

 

এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, "রনক যখন কম্বল মুড়ি দিয়ে ছিলেন, সেই সময়ই তাঁর স্ত্রী প্রথমে গায়ে ফুটন্ত জল ঢেলে দেন।" তিনি আরও বলেন, "আগুনের হল্কায় তিনি কম্বল ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন এবং গায়ের পোশাক খোলার চেষ্টা করছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তেই স্ত্রী তাঁর উপর অ্যাসিড ছেটান। এর ফলে তিনি গুরুতর ভাবে পুড়ে গিয়েছেন।" আশঙ্কাজনক অবস্থায় রনকের চিকিৎসা চলছে। দিওয়ালির রাতে ঠিক কী কারণে এই হিংসাত্মক ঘটনা ঘটল, পুলিশ তার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে।

 

অন্য দিকে, দিওয়ালি উদযাপনের আবহে মঙ্গলবার অর্থাৎ ২২ অক্টোবর দেশের রাজধানী দিল্লিতেও একাধিক অগ্নিদগ্ধের ঘটনা সামনে এসেছে। অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এইমস)-এর প্লাস্টিক, রিকনস্ট্রাকটিভ এবং বার্নস সার্জারি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ১৯ থেকে ২১ অক্টোবরের মধ্যে মোট ৬০টি অগ্নিদগ্ধের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন: মেয়ের শখ মেটাতে বস্তাভর্তি কয়েন নিয়ে শোরুমে বাবা, ধনতেরাসে মন ছুঁয়ে যাওয়া কাহিনির সাক্ষী ছত্তিশগড় 

 

প্রসঙ্গত, আরও এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে গেল উত্তরপ্রদেশে৷ সম্পর্ক চালিয়ে যেতে রাজি না হওয়ায় উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরে ঘটে গেল হাড়হিম কাণ্ড। খবর অনুযায়ী, এক মহিলা পুলিশের থানার ভিতরেই নিজের হাত কেটে আত্মঘাতী হলেন। আর এই ঘটনা ঘিরে সম্প্রতি চরম শোরগোল এলাকায়। 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, পূজা মিশ্র নামে ওই মহিলা আদতে দিল্লির বাসিন্দা। কয়েক বছর আগে ললিত কুমার মিশ্রের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বর্তমানে তাঁদের ছয় ও সাত বছর বয়সের দুই পুত্রসন্তান রয়েছে। জানা গিয়েছে, কাজের প্রয়োজনে ললিতের ভাইপো অলোক মিশ্রকে যখন ডাকা হয়, তখন তাঁর সঙ্গে পূজার পরিচয়। অলোক পূজাদের বাড়িতে থাকার সময়ই তাঁদের মধ্যে একটা প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জানা গিয়েছে তাঁদের দুজনার বয়সের পার্থক্যও অনেক। অলোক পূজার চেয়ে কমপক্ষে ১৫ বছরের ছোট।

 

গল্পের মোড় নেয় যখন পূজার স্ত্রী ললিত তাঁদের এই প্রেমের সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। এ কথা জানতে পেরে ললিত অলোককে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। এরপর পূজা তাঁর সন্তানদের ছেড়ে বেরেলিতে চলে যান। খবর অনুযায়ী সেখানে তাঁরা প্রায় সাত মাস একসঙ্গে ছিলেন।

 

এরপরই আচমকা পূজা ও অলোকের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। পরে অলোক তাঁর ভিটে সীতাপুরে ফিরে আসেন। পূজা সেখানে পৌঁছলে বিবাদ মেটানোর জন্য তাঁদের দু'জনকেই স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে ডেকে পাঠানো হয়।পুলিশের সামনেই অলোক যখন পূজাকে জানান যে তিনি আর তাঁর সঙ্গে থাকতে চান না, তখন পূজা একটি ব্লেড বের করে থানার ভেতরেই নিজের হাত কেটে ফেলেন। 

 

ঘটনার জেরে উপস্থিত সকলের মধ্যে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। হুড়োহুড়ি লেগে যায় পুলিশ স্টেশনে। তাঁকে জখম অবস্থায় তড়িঘড়ি নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গুরুতর অবস্থায় তাঁকে লখনউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে৷