আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্বামীর মৃত্যুর পর বিধবাকে তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা যাবে না। রায়ে এমনই নির্দেশ দিয়েছে কেরল হাইকোর্ট।

৪১ বছর বয়সী একজন স্বামীহারা মহিলাকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এমনকি তাঁর সন্তানদেরও জোর করে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগ করেছিলেন মহিলা। এরপরই মহিলা শুরবাড়িতে নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ২০০৫ সালে পারিবারিক হিংসা ও নারী সুরক্ষা আইনের অধীনে নির্যাতিতা মহিলা পালাক্কাদের দায়রা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। দায়রা আদালত মহিলার বিপক্ষে রায় দেয়। শ্বশুরবাড়ির আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। তখন দায়রা আদালতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা কেরল হাইকোর্টে আপিল করে। 

তবে, হাইকোর্টও একই পরিণতি হল। শ্বশুরবাড়ির আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি এম বি স্নেহলতা বলেন যে, "পারিবারিক হিংসা আইনের ১৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী, পারিবারিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রতিটি মহিলারই ভাগাভাগি করে বসবাস করার অধিকার রয়েছে, তা সে সম্পত্তির মালিক হোক বা তার উপর কোনও আইনি দাবি থাকুক না কেন।"

মহিলার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের যুক্তি ছিল, স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি আর ওই বাড়িতে থাকেননি। ফলে মহিলার সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের আর কোনও পারিবারিক সম্পর্ক ছিল না এবং ডিভি আইন তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। কিন্তু আদালত বলেছে যে, প্রমাণ থেকে দেখা যাচ্ছে যে- শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে এবং তাঁর সন্তানদের উচ্ছেদের চেষ্টা করে পারিবারিক হিংসা করেছে। রায়ে বলা হয়েছে যে, দায়রা আদালত মহিলাকে সুরক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে সঠিক ছিল।

আদালত পারিবারিক হিংসতা আইনকে নারীদের সুরক্ষার জন্য একটি যুগান্তকারী আইন বলে অভিহিত করেছে এবং বিবাহিত মহিলাদের বৈবাহিকভাবে বাড়িতে থাকার অধিকারকে সমর্থন করেছে।