আজকাল ওয়েবডেস্ক: কেরালায় সম্প্রতি একটি গভীর উদ্বেগজনক ঘটনা ঘটেছে৷ ২৮ বছরের এক যুবতীকে তাঁর বাবা খুন করেছে বলে অভিযোগ। গভীর রাতে বাইরে বেরোনোর বিরোধের জেরে খুন করে অভিযুক্ত। কেরালার আলাপ্পুঝা জেলার মারারিকুলাম দক্ষিণের ওমানাপুঝা গ্রামে ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা।পারিবারিক সহিংসতা এর মূল কারণ বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ যুবতীর এই পরিণতি দেখে চমকে উঠেছে দেশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে জেসমিনকে তাঁর বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়৷ আলাপ্পুঝার একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরতা ছিলেন যুবতী৷ মারারিকুলাম দক্ষিণ পঞ্চায়েতের ১৫তম ওয়ার্ডে তাঁর বাস৷ যুবতীর বাবা ৫৩ বছর বয়সী ফ্রান্সিস অপরাধ স্বীকার করার পর মান্নানচেরি পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়।
প্রাথমিক পুলিশ তদন্ত অনুসারে, কুদিয়ামসেরির পরিবারে কিছুদিন ধরেই অশান্তি চলছিল। জেসমিন রাতে বাইরে বেরোতেন যা তাঁর বাবা পছন্দ করত না। স্থানীয়রাও ফ্রান্সিসের প্রতি তাঁদের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। সব মিলিয়ে ফ্রান্সিস উত্তেজিত ছিল। মঙ্গলবার রাতে জেসমিন রাতে বেরোন। কিন্তু ফিরে আসার পরই শুরু হয় তুমুল অশান্তি। শারীরিক সংঘর্ষে রূপ নেয় অশান্তি। ফ্রান্সিস প্রথমে রাগের বশে তাঁকে শ্বাসরোধ করে, পরে পরিবারের সদস্যদের বাইরে পাঠিয়ে দড়ি গলায় আঁটকে শেষ করে যুবতীকে। পুলিশ কিছুক্ষণ পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিবারের সদস্যদের পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় হাসপাতালে৷
ফ্রান্সিসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। পাশাপাশি তার স্ত্রী সিন্ধুকেও সহ-অভিযুক্ত বলে মনে করছে পুলিশ৷ প্রতক্ষদর্শী হয়েও নিজের সন্তানকে বাঁচানোর যথাযথ চেষ্টায় ব্যর্থ হন।
খবর অনুসারে, স্বামী প্রহিনের থেকে বিচ্ছেদের পর গত ছয় মাস ধরে জেসমিন তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকছিলেন।আলাপ্পুঝা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর, জেসমিনের মৃতদেহ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার মধ্যে বাড়িতে আনার কথা ছিল। পুলিশ জানিয়েছে দুপুর ১২ টা নাগাদ ওমানাপুঝার সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার চার্চে তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে৷
