আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিধবা মাকে একটানা ধর্ষণ, মারধর বড় ছেলের। যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে মাকে বারবার জোর করত সে। যৌন নির্যাতনের ঘটনাটি একদিন চোখে পড়ে বৃদ্ধার ছোটছেলের। দাদার কীর্তি থানায় ফাঁস করেন তিনি। অবশেষে 'গুণধর' ছেলেকে দোষী সাব্যস্ত করে কড়া সাজা শোনাল আদালত। ৩৬ বছরের যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল উত্তর প্রদেশের একটি আদালত।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দেড় বছর আগে নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের বুলন্দশহরে। ২০১৩ সালে বৃদ্ধার স্বামী মারা যান। দশ বছর ধরেই বৃদ্ধা মাকে যৌন নির্যাতন করতে তাঁর বড় ছেলে। কখনও মারধর, কখনও বা ধর্ষণ। ঘটনাগুলো বাইরে ফাঁস করলে খুনের হুমকি পর্যন্ত দিত। অবশেষে দাদার কীর্তি জানতে পারেন ছোট ভাই। থানার দ্বারস্থ হয়ে কড়া শাস্তির দাবি জানান তিনি। তখনই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত দেড় বছর ধরে ঘটনার তদন্ত চালায় পুলিশ। বৃদ্ধার মেডিক্যাল টেস্ট হয়। তদন্তে নেমেই পুলিশ জানতে পারে, মাকে চাষের জমিতে টেনে, হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করেছিল যুবক। আদালতে বৃদ্ধা জানান, রোজ রাতে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে পাশে শুতে জোর করত। ফাঁকা বাড়িতে অচৈতন্য করে ধর্ষণ করত। ছেলের কড়া সাজার দাবি করেন তিনি।
ঘটনার বিবরণ জেনে বুলন্দশহরের একটি ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারপতি জানান, এমন নৃশংস অপরাধ এর আগে তিনি শোনেননি। দোষী সাব্যস্ত যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। পাশাপাশি ৫১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
