আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুনানি চলাকালীন হঠাৎই এক অভিযুক্ত মুঠোভর্তি ভাত ছুড়ে দেন মেঝেতে। মুহূর্তেই থমকে যায় বিচারকাজ। উপস্থিত আইনজীবীদের একাংশের দাবি, ঘটনাটির নেপথ্যে  থাকতে পারে কালাজাদু। শেষপর্যন্ত আদালতের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ওই অভিযুক্তকে সেদিন আদালত চলা পর্যন্ত কারাবাসের সাজা ও দু'হাজার টাকা জরিমানা করেন বিচারক।

ঘটনাটি ঘটে ১১ অগস্ট। অতিরিক্ত সেশন বিচারক শেফালি বারনালা ট্যান্ডনের এজলাসে তখন শুনানি চলছে। আচমকা অভিযুক্ত মেঝেতে ভাত ছুড়ে দেন। আদালতের কর্মী ও আইনজীবীরা বিচারককে জানান, মেঝেতে ভাত ছড়িয়ে থাকায় কেউই আর মঞ্চের দিকে এগোতে পারছেন না।

বিচারক নির্দেশ দেন, অভিযুক্ত যেন নিজেই ভাত কুড়িয়ে মেঝে পরিস্কার করে দেন। সেই সঙ্গে ডাকা হয় ঝাড়ুদারকে। প্রায় ১০ মিনিট বন্ধ থাকে শুনানি। আইনজীবীদের আশঙ্কা, এটা আসলে কালাজাদুর কৌশল।

আরও পড়ুন-  অপেক্ষার অবসান, রবিবারই দেশে ফিরছেন মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা, মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ কবে?

পরে অভিযুক্তের আইনজীবী ভার্চুয়ালি আদালতে হাজির হয়ে সময় চান। অভিযুক্ত নিজেও হাঁটু গেড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তবে বিচারক স্পষ্ট ভাষায় জানান, আদালত ন্যায়বিচারের মন্দির। সেখানে শৃঙ্খলা ও মর্যাদা রক্ষা অত্যন্ত জরুরি। এ ধরনের আচরণ শুধু শুনানিই বিঘ্নিত করে না, সাধারণ মানুষের চোখে বিচারব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতাকেও প্রশ্নের মুখে ফেলে।

বিচারক আরও বলেন, মহারাষ্ট্রে কালাজাদু ও অমানবিক কুসংস্কার প্রতিরোধে বিশেষ আইন কার্যকর রয়েছে। অথচ অভিযুক্ত যিনি পেশায় একজন সার্জন, তিনি শিক্ষিত সমাজের মানুষ হয়েও এই ধরনের অবিবেচক আচরণ করেছেন। এর ফলে প্রায় ১৫-২০ মিনিট আদালতের কার্যক্রম স্তব্ধ থেকেছে।

শেষ পর্যন্ত অভিযুক্তের ক্ষমা প্রার্থনা ও অনুতাপের ভিত্তিতে তাঁকে ‘টিল দ্য রাইজিং অব কোর্ট’ সাজা এবং ২ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারক।