আজকাল ওয়েবডেস্ক: শেষমেষ আত্মসমর্পণ করলেন নিহত মাওবাদী শীর্ষ নেতা কিষেণজির স্ত্রী পোথুলা পদ্মাবতী। সংগঠনে তিনি কল্পনা ও সুজাতা নামেও পরিচিত। পদ্মাবতী শনিবার হায়দ্রাবাদে তেলেঙ্গানা পুলিশের ডিজি জিতেন্দ্রের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।

১৯৮২ সাল থেকে আত্মগোপন করেছিলেন মাওবাদী নেত্রী ৬২ বছর বয়সী পোথুলা পদ্মাবতী। তাঁর মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা। সেই দোর্দদণ্ডপ্রতাপ মাও নেত্রীই আত্মসমর্পণ করেন।

আত্মসমর্পণকারী পদ্মাবতী মাওবাদীদের দক্ষিণ উপ-জোনাল ব্যুরো সচিব এবং দণ্ডকারণ্য বিশেষ জোনাল কমিটির 'জনগণের সরকার'-এর দায়িত্বে থাকা-হ গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যও ছিলেন।

তেলেঙ্গানার জোগুলাম্বা গাদওয়াল জেলার এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণকারী পদ্মাবতী, মালোজুলা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজিকে বিয়ে করেছিলেন। কিষেণজিও একজন শীর্ষ মাওবাদী নেতা ছিলেন। কিষেণজি সিপিআই (মাওবাদী)-এর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং সম্পাদক ছিলেন। ২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তের কাছে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তিনি নিহত হন।

মাওবাদীদের সঙ্গে যোগদানের জন্য পদ্মাবতী তাঁর খুড়তুতো ভাইদের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। পদ্মাবতী- ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা এবং ওড়িশায় মোস্ট ওয়ান্টেড মাওবাদী নেত্রী ছিলেন। তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল বাহিনী। তাঁর মাথার দাম ধার্য হয়েছিল এক কোটি টাকা।

তেলেঙ্গানা পুলিশ পদ্মাবতীর আত্মসমর্পণকে "নৈতিক জয়" বলে অভিহিত করেছে। উল্লেখ করেছে যে, শুধুমাত্র ২০২৫ সালে ৪০৪ জন মাওবাদী ক্যাডার আত্মসমর্পণ করেছে।

বাকি মাওবাদীদের প্রতি আবেদন জানিয়ে তেলেঙ্গানা পুলিশের ডিজি জিতেন্দ্রের বলেছেন, "অস্ত্র জমা দিন, আপনারা গ্রামে ফিরে যান এবং তেলেঙ্গানার অগ্রগতিতে যোগ দিন।"

আরও পড়ুন- স্বাধীনতার সংকট ও সমৃদ্ধির প্রশ্ন: ভারত কোথায় দাঁড়িয়ে?

আরও পড়ুন- এটি ভারতের অন্যতম বড় রেল স্টেশন, সূচনার দিন দেশজুড়ে ছুটি ছিল, সম্মান জানানো হয়েছিল ২১ তোপধ্বনিতে

আরও পড়ুন- জামিন আবেদনের নিষ্পত্তির করতে হবে দু'মাসের মধ্যে, দেশের সব হাইকোর্টকে নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত