আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন লিভ-ইন পার্টনার। সেই কারণে সঙ্গিনীকে খুন করলেন এক বিবাহিত ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের দেবাসে। খুনের পর ওই মহিলার দেহ ফ্রিজের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিলেন গত আট মাস ধরে। ফ্রিজটি খারাপ হওয়ার ফলে দুর্গন্ধ বার হতে থাকে তারপর ওই ব্যক্তির কুকীর্তি ফাঁস হয়ে যায়। দেবাস থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ওই ব্যক্তিকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, খুন হওয়া মহিলার নাম পিঙ্কি প্রজাপতি। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সঞ্জয় পাটিদার। গত পাঁচ বছর ধরে দু'জনে একসঙ্গে দেবাসের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকছিলেন। সম্প্রতি সঞ্জয়কে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন পিঙ্কি। সঞ্জয় বিবাহিত। তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী রয়েছেন। সব জেনেও ক্রমাগত চাপ দিতে থাকায় পিঙ্কিকে খুন করেন সঞ্জয়।
দেবাস পুলিশ সুপার পুনীত গেহলত বলেন, ''আমাদের সন্দেহ গত বছর জুন মাসে খুন করা হয়েছিল মহিলাকে। হঠাৎ করে বাড়িটি থেকে দুর্গন্ধ বার হতে থাকায় প্রতিবেশীরা বাড়িওয়ালাকে ডেকে পাঠান। বাড়ি খুলতেই ফ্রিজের মধ্যে মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। বাড়িওয়ালা পুলিশকে খবর দেন। এরপর শুক্রবার সঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়।''
বাড়িটি ইনদোরের বাসিন্দা ধীরেন্দ্র শ্রীবাস্তবের। তিনি জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে জুন মাসে তিনি সঞ্জয়কে ভাড়া দিয়েছিলেন তাঁর বাড়িটি। তার এক বছর পর বাড়িটি ছেড়ে দেন সঞ্জয়। কিন্তু কিছু মালপত্র রেখে দেন। ধীরেন্দ্রকে তিনি জানিয়েছিলেন পরে সরিয়ে নিয়ে যাবেন। সম্প্রতি ওই মালপত্রের সঙ্গে থাকা ফ্রিজটি খারাপ হয়ে যায়। তারপরেই দুর্গন্ধ বার হতে থাকে।
এই ঘটনার সঙ্গে অনেকে দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনের ঘটনার মিল পাচ্ছেন। শ্রদ্ধার লিভ-ইন পার্টনার ছিলেন আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। ২০২২ সালে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করে ফ্রিজে ভরে রেখেছিলেন আফতাব। এছাড়াও আরও বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল শ্রদ্ধার দেহের অংশ। পরে পুলিশ আফতাবকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে সে দিল্লি জেলে বন্দি।
