আজকাল ওয়েবডেস্ক: বুধবার সকালে ভারতের পহেলগামে ২২ এপ্রিলের ভয়াবহ জঙ্গি হামলার প্রতিশোধে ভারতীয় সেনার নির্দিষ্ট টার্গেটে আঘাত হানার পর, পুঞ্চ জেলার নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বর্বরোচিত গোলাবর্ষণ চালায়। এই নির্বিচার গোলাবর্ষণে অন্তত ১২ জন নিরীহ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ৪২ জন।

নিহতদের মধ্যে রয়েছে চারটি নিষ্পাপ শিশু—যাদের বয়স মাত্র সাত থেকে চৌদ্দ বছরের মধ্যে। এই চার শিশুর মধ্যে দুজন ছিল ভাই-বোন। এমনকি শিখ সম্প্রদায়ের চারজন, যাদের মধ্যে একজন মহিলা, এবং দারুল উলুম মাদ্রাসার এক মুসলিম ধর্মগুরু ক্বারী মহম্মদ ইকবালও প্রাণ হারিয়েছেন পাকিস্তানি হামলায়।


বালাকোট, মেন্ধার, মানকোট, সাগরা, কৃষ্ণাঘাঁটি, গুলপুর, কারনি ও পুঞ্চ জেলা সদর সহ বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে পাকিস্তানের গোলাবর্ষণ ক্ষয়ক্ষতির ছাপ ফেলে গেছে। ভয়ানক আতঙ্কে সীমান্তবাসীরা বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন, কেউবা পালিয়ে যাচ্ছেন আত্মীয়ের বাড়ি কিংবা জম্মুর দিকে।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানও রেহাই পেল না।
পাকিস্তানি কামানের গোলায় পুঞ্চ শহরের গুরুদ্বারা 'শ্রী গুরু সিংহ সভা' ও খ্রিস্টান মিশনারি স্কুল 'ক্রাইস্ট স্কুল'-ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা দর্শন ভারতী বলেন, “পুঞ্চে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। শহরের মধ্যেই দুইজন মারা গিয়েছেন। পেট্রোল পাম্পে লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে। আমি আমার পরিবারকে নিয়ে জম্মু পালিয়ে যাচ্ছি।”

এই বর্বরতা শুধুমাত্র ভারতীয় ভূখণ্ডে হামলা নয়—এ এক নিষ্ঠুর মানবতাবিরোধী অপরাধ। পাকিস্তান যেন যুদ্ধবিধির কোনও বালাই রাখেনি। শিশু, নারী, ধর্মগুরু—কারো জীবনই সুরক্ষিত নয় ওদের গোলার মুখে। আজ পুঞ্চ কাঁদছে, কাঁদছে গোটা দেশ।

ভারতীয় সীমান্তবাসীর কণ্ঠে একটাই প্রশ্ন— "আর কত প্রাণ গেলে চুপ করে থাকবো?"

এই ঘটনা ভারতকে কেবল সতর্কই নয়, দৃঢ় পদক্ষেপের দিকেও নিয়ে যাবে—সেটা এখন সময়ের অপেক্ষা।