আজকাল ওয়েবডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের বদলা নিতে গিয়ে দুরমুশ পাকিস্তান। বুধবার রাতে ভারতের ১৫টি সেনা ক্যাম্পে হামলা চালানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই হামলা শুধু প্রতিরোধই করেনি সেনা, পাল্টা পাকিস্তানের 'এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম' ধ্বংস করে দেওয়ার দাবি করেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে এই নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এরপরই বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। 

সেনাপ্রধান দ্বিবেদী বৈঠকের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছেছেন। গত রাতে পাকিস্তান ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কাপুরথলা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, ভাটিন্ডা, চণ্ডীগড়, নল, ফালোদি, উত্তরলাই এবং ভূজে আক্রমণের চেষ্টা করেছিল। সেই প্রেক্ষিতে এই বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। 

এই বৈঠক থেকেই কী আরও বড় কোনও আক্রমণের কৌশল তৈরি হচ্ছে? আপাতত সেই জল্পনাই তুঙ্গে উঠেছে।

মঙ্গলবার গভীর রাতে অপরেশন সিদুঁরের পর ইসলামাবাদ বদলার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। নয়াদিল্লির তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার রাতে উত্তর এবং পশ্চিম ভারতের অন্তত ১৫টি শহরে ড্রোন হামলার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। তবে সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগর, পাঠানকোট, জম্মু, অবন্তীপুর ছাড়া পাঞ্জাবের অমৃতসর, লুধিয়ানা, চণ্ডীগড় সহ একাধিক জায়গায় ড্রোন হামলা করার চেষ্টা করে পাক বাহিনী। তবে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দ্বারা সেই ড্রোনগুলি নষ্ট করে দেওয়া হয়। এছাড়া, পাল্টা হিসাবে লাহোর-সহ পাকিস্তানের একাধিক শহরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করা হয়েছে।

ভারত বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, "এই হামলার ধ্বংসাবশেষ এখন বেশ কয়েকটি স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, যাতে পাকিস্তানের আক্রমণের প্রমাণ স্পষ্ট।" তবে ভারত কোনও সেনাঘাঁটি বা জনবসতি এলাকায় আক্রমণ করেনি।

সূত্রের খবর, পাকিস্তানের এইচকিউ-৯ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম ইউনিট যা চিনের তৈরি করা, তা ধ্বংস করেছে ভারত। আর এর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ইজরায়েল নির্মিত 'হারপ' ড্রোন।