আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজস্থানের তিনটি শহরে জারি করা হল রেড অ্যালার্ট। হিন্দুস্থান টাইমসের খবর অনুসারে বাড়মের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
 
 ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে চলা উত্তেজনার পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। রাজস্থানের বাড়মের, শ্রী গঙ্গানগর এবং যোধপুরে জারি করা হল এই হাই অ্যালার্ট। সকল নাগরিকদের নিজেদের ঘরে থাকার জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
*ALERT*
— District Collector & Magistrate, Jodhpur (@JodhpurDm)
Possible air strike.
Siren to be sounded.
All to move inside and roads cleared.@BhajanlalBjp @DIPRRajasthanTweet by @JodhpurDm
 
 বাড়মের জেলা কালেক্টর টিনা দাবি নির্দেশ দিয়েছেন সেখানকার সমস্ত বাজার এবং দৈনন্দিন কাজ যেন সকাল ১০ টার মধ্যে শেষ করে দেওয়া হয়। এই নির্দেশকে দ্রুত কার্যকর করা হবে। প্রশাসনকে বলা হয়েছে তারা যেন এই নির্দেশকে সঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা সেটাও দেখতে। এটি একটি জরুরি ভিত্তিক নোটিশ। 
*URGENT*
— Barmer District Collector & Magistrate (@BarmerDm)
HIGH RED ALERT ????
Everyone is ordered to immediately to go to their houses.
Markets to be closed and all movement to be stopped.
Urgent, pls note.
IMMEDIATE ENFORCEMENT TO BE ENSURED
DM BARMERTweet by @BarmerDm
 
 শনিবার দিনের শুরুতেই প্রায় ভোর ৫ টা নাগাদ পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ড্রোন হামলার খবর আসে। যদিও ভারতের ডিফেন্স সিস্টেম তাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে। এরপরই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়। এছাড়া ব্ল্যাক আউটের নির্দেশও থাকছে। 
 
 কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই নির্দেশিকা সকলকে কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। সকল নাগরিকরা যেন নিজেদের ঘরে থাকেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবিষয়ে ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপশি যোধপুরেও এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানেও সকল বাসিন্দাদের এই নির্দেশ মানতে হবে। জয়সলমীরে স্থানীয় বাজারগুলির দোকান বন্ধ রয়েছে। পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে বেশি মানুষ যেন কোথাও ভিড় না করেন। 
 
 নিয়ন্ত্রণরেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তে সেনা মোতায়েনের সংখ্যা যে বৃদ্ধি করছে পাকিস্তান তা যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা এবং সরকার। বিদেশ মন্ত্রক এবং সেনার যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তানের আক্রমণ জারি রয়েছে। ভারতীয় সেনাঘাঁটিগুলিকে নিশানা করা হচ্ছে। ড্রোন এবং অন্যান্য মাধ্যমে গোলাবর্ষণ চলছে। অধিকাংশ হামলাই ভারত নিষ্ক্রিয় করেছে। আদমপুর, উধমপুর, ভাতিন্ডার মতো কিছু কিছু জায়গায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
শ্রীনগর, অবন্তিপুর, উধমপুরে চিকিৎসাকেন্দ্র, স্কুলগুলিকে নিশানা করেছে পাকিস্তানি সেনা। হাই স্পিড মিসাইল ছোড়া হয়েছে।’ কর্নেল সোফিয়া জানিয়েছেন, পাকিস্তানের রফিকি, মুরিদ, চাকলালা এবং রহিম ইয়ার খানে পাক সেনার এয়ারবেসে আকাশপথে ভারত হামলা চালিয়েছে। এছাড়া, সুক্কুর এবং চুনিয়ায় পাক সেনাঘাঁটি, পসরুর এবং সিয়ালকোটের বিমান ঘাঁটিতেও হামলা হয়েছে। উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং জানিয়েছেন, ‘দেখা গিয়েছে, পাকিস্তান সেনা তাদের সৈন্যদের সামনের দিকে এগিয়ে আনছে। এতে তাদের আক্রমণাত্মক অভিপ্রায় প্রকাশ পাচ্ছে।’
