আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১৭ বছরের নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল কর্নাটকের বেলগাঁও জেলার একটি রাম মন্দিরের সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে। পুলিশ পকসো আইনে ওই অভিযুক্ত সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত সন্ন্যাসীর নাম লোকেশ্বর মহারাজ। তিনি কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরু থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বেলগাঁওয়ের রায়বাগ তালুকের মেখালি গ্রামের রাম মন্দিরের সন্ন্যাসী। অভিযুক্ত এই সন্ন্যাসী ১৭ বছরের এক কিশোরীকে প্রলুব্ধ করে বাগালকোট শহরের একটি লজে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানেই তিনি ওই কিসোরীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
এরপর অভিযুক্ত লোকেশ্বর মহারাজ নাবালিকাটিকে রায়চুরে নিয়ে যায় এবং নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ।
ধর্ষণের পর, সন্ন্যাসী কিশোরীটিকে বাগালকোট জেলার মহালিঙ্গপুর বাস স্ট্যান্ডে ফেলে চলে যান বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বেলাগাভি জেলার পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট ড. ভীমাশঙ্কর এস গুলেদ বলেন, "অভিযুক্ত ব্যক্তি নির্যাতিতাকে বাড়িতে নামিয়ে দেওয়ার অজুহাতে প্রলুব্ধ করে, তাঁর গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়, মেয়েটিকে রাইচুর এবং বাগলকোটের একটি লজে নিয়ে গিয়ে তার উপর যৌন নির্যাতন চালায়। পরে সে তাকে বেলাগাভির কাছে ছেড়ে দেয়।"
বাগলকোটের নবনগর থানায় পকসো আইনের এর অধীনে ওই সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট ড. ভীমাশঙ্কর এস গুলেদের দাবি, "অভিযুক্ত পুলিশে এফআইআর-এর খবর পেয়েই নির্যাতিতার বাবা-মাকে অগ্নিপরীক্ষার কথা জানিয়েছিলেন। নির্য়াতিতার বাবা-মায়'ই বাগলকোট পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যেহেতু নির্যাতিতাকে আমাদের এখতিয়ার থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তাই এখানে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।"
মামলাটি পরে বেলাগাভি জেলার মুদালাগি থানায় স্থানান্তরিত করা হয়। ইতিমধ্যেই এই থানার পুলিশ অভিযুক্ত সন্ন্যাসীর নাম লোকেশ্বর মহারাজকে গ্রেপ্তার করেছে।
