আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ রাজধানী দিল্লি আর দূষণ যেন সমার্থক। সোমবারও বাতাসের গুণগত মান বেশ খারাপ পর্যায়েই রয়েছে। এই অবস্থায় দূষণ সংক্রান্ত মামলার শুনানি হল শীর্ষ আদালতে। সেখানেই সুপ্রিম কোর্টকে মামলাকারীর আইনজীবী জানান, দেশের রাজধানীতে দূষণ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি কার্যকর নয়। এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য কখন জিআরএপি (গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান) জারি করা উচিত, তা বোঝা যাবে না। এর পরেই কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ড (সিপিসিবি) এবং কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (সিএকিউএম)–এর কাছে রিপোর্ট চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত।


এটা ঘটনা, রাজধানীতে দূষণ বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে অভিযোগ উঠেছে, দূষণ পর্যবেক্ষণ করে যে কেন্দ্রগুলি, সেগুলির বেশির ভাগই কার্যকর নয়। সুপ্রিম কোর্টে মামলাকারীর আইনজীবী জানিয়েছেন, দীপাবলির সময়ে দিল্লির ৩৭টি দূষণ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র ন’টি চালু ছিল। এরকম হলে দিল্লিতে বাতাসের সামগ্রিক গুণমান সঠিক ভাবে ধরা যাবে না। কখন জিআরএপি জারি করতে হবে, তা–ও বোঝা যাবে না। এই নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে আর্জি জানান মামলাকারীর আইনজীবী।


এরপরেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গবই কেন্দ্রীয় সংস্থা সিপিসিবি এবং সিএকিউএমের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে। দূষণ যাতে আর না বাড়ে, তার জন্য কী কী পদক্ষেপ করা হবে, সেই নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছে শীর্ষ আদালত।


এটা ঘটনা, সোমবার সকালে দিল্লিতে বাতাসের গুণগত মান ছিল ৩১৬। ২৮টি পর্যবেক্ষণকেন্দ্র জানিয়েছে, বাতাসের সামগ্রিক গুণমান ‘অত্যন্ত খারাপ’। সিপিসিবি–র তথ্য অনুযায়ী, বাতাসের গুণগত মান যদি ০–৫০ থাকে, তাহলে সেটি ভাল। ৫১–১০০ হলে সন্তোষজনক। ১০১–২০০ হলে মাঝারি। ২০১–৩০০ হলে খারাপ। ৩০১–৪০০ হলে অত্যন্ত খারাপ। ৪০১–৫০০ হলে ভয়ানক।