আজকাল ওয়েবডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের কুলগামের ২৩ বছর বয়সী ইমতিয়াজ আহমদের দেহ উদ্ধার হল বৈষ্ণব নদী থেকে। পুলিশ জানায়, জঙ্গি যোগের সন্দেহে আটক করার পর পালাতে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ডুবে যান ইমতিয়াজ। কিন্তু তাঁর পরিবার দাবি করেছে, এটি একটি হেফাজতে খুনের ঘটনা।

পুলিশ সূত্রে খবর, ইমতিয়াজকে লস্কর-ই-তৈবার একটি স্লিপার সেলের সঙ্গে যুক্ত থাকার সন্দেহে আটক করা হয়েছিল। ২৩ এপ্রিলের একটি এনকাউন্টারের তদন্তে তাঁর নাম উঠে আসে। পুলিশের দাবি, জেরা চলাকালীন তিনি একটি জঙ্গি ঘাঁটির অবস্থান জানিয়ে দেয় এবং তাঁকে সেই স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। তখনই সে জলের স্রোত থাকা বৈষ্ণব নদীতে ঝাঁপ দেয় ও স্রোতে ভেসে যায়।

পুলিশ ড্রোন ফুটেজ প্রকাশ করেছে, যেখানে ইমতিয়াজ নদীতে ঝাঁপ দিচ্ছে বলে দাবি করা হয়। তবে তাঁর পরিবার পুলিশের এই বর্ণনাকে সম্পূর্ণ খারিজ করে হেফাজতে হত্যার অভিযোগ এনেছে।

এই মৃত্যু কুলগামে এর আগের তিন গুজ্জর যুবকের নিখোঁজ হয়ে একই নদী থেকে দেহ উদ্ধারের ঘটনার সঙ্গে তুলনা টানছে স্থানীয়রা।

ঘটনাটি ঘিরে জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে প্রবল ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি বলেন, “একটি হিংসার ঘটনার জবাবে যদি বেছে বেছে নিরীহ মানুষদের আটক, বাড়ি ভাঙা আর ভয় ছড়ানো হয়—তাহলে সন্ত্রাসবাদীরাই জিতে গেছে।”

রাজ্য মন্ত্রী সাকিনা ইটো ইমতিয়াজের বাড়িতে গিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পুলিশের রেকর্ডে ইমতিয়াজের বিরুদ্ধে কিছুই ছিল না।

পাহেলগামে ২২ এপ্রিল লস্কর-ঘনিষ্ঠ জঙ্গিদের গুলিতে ২৬ জন নিহত হওয়ার পর উপত্যকায় নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপক সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে।