আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ‘‌অপারেশন সিঁদুর’‌ এর সাফল্য। এটা ঘটনা সেনা জওয়ানদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ‘‌অপারেশন সিঁদুর’‌ এ লড়াই করেছিলেন অগ্নিবীররা। গুরুত্বপূর্ণ স্ট্র্যাটেজিক ক্ষেত্রে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শত্রুপক্ষকে ধ্বংস করার পুরস্কার এবার পেতে চলেছেন অগ্নিবীররা। সম্ভবত অগ্নিবীরদের স্থায়ীকরণের পরিমাণটা এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়িতে দিতে চলেছে কেন্দ্র।


এটা ঘটনা, ‘‌অপারেশন সিঁদুর’‌ এ প্রায় সাড়ে চার হাজার অগ্নিবীর অংশগ্রহণ করেছেন বলে সূত্রের খবর। পাকিস্তানের সঙ্গে সাড়ে তিন দিনের সংঘাতে তাঁদের ভূমিকায় সন্তুষ্ট সেনার শীর্ষ আধিকারিকরা। তিন সেনার তরফেই অগ্নিবীরদের কাজের প্রশংসা করা হয়েছে। সরকারি সূত্র বলছে, তিন বাহিনীর প্রধানই অগ্নিবীরদের পাকাপাকি চাকরিতে রেখে দেওয়ার পরিমাণ বাড়াতে চেয়ে সুপারিশ করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রকে। একই সঙ্গে বাড়ানো হতে পারে বর্তমানে কর্মরতদের মেয়াদও। 

 

আরও পড়ুন:‌ আপনার বাড়ির সামনে দিয়েই এবার ছুটবে মেট্রো!‌ পুজোর আগে এই এই রুটে চালু হয়ে যেতে পারে পরিষেবা


সেনাবাহিনীর লোকবল অক্ষুন্ন রেখে আধুনিকীকরণের স্বার্থে অগ্নিপথ প্রকল্প ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। এর মাধ্যমে সেনায় স্বল্প মেয়াদে ৪ বছরের জন্য কর্মী নিয়োগ করা হয়। যাদের পোশাকি নাম ‘অগ্নিবীর’। চার বছরের মেয়াদ শেষে ১০ শতাংশ অগ্নিবীরকে স্থায়ী কমিশন দেওয়া হবে বলে এর আগে ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। বাকি ৯০ শতাংশ অগ্নিবীরের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত ছিল। ২০২২ সালে এই প্রকল্প শুরু হয়। প্রথম পর্বের অগ্নিবীরদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২৬ সালের শেষদিকে। তার আগেই অগ্নিবীরদের পাকা চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে। ১০ শতাংশটা বেড়ে কোনও কোনও ক্ষেত্রে ৮০–৯০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। তবে সেটা আলাদা আলাদা বাহিনীর আলাদা আলাদা বিভাগের উপর নির্ভর করবে বলে জানা যাচ্ছে এখনও অবধি। একই সঙ্গে সেনায় অংশগ্রহণকারী অগ্নিবীরদের বয়স যাতে না বাড়ে সেটাও নজর রাখার কথা গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে সরকার।


এটা ঘটনা, সেনায় চার বছর কাজ করার পর অগ্নিবীরদের ভবিষ্যৎ কী হবে? প্রকল্প ঘোষণার পর থেকেই কেন্দ্রকে এই প্রশ্ন করেছিল বিরোধীরা। মাত্র ৪ বছরের জন্য অগ্নিবীর নিয়োগের সিদ্ধান্তে রীতিমতো রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায় সেনায় চাকরিপ্রার্থীরা। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, উত্তরাখণ্ড, হিমাচলপ্রদেশে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন সেনায় চাকরিপ্রার্থীরা। এবার সেই সমস্যা মিটতে পারে অনেকটাই। অন্তত আলোচনা শুরু হয়েছে। অগ্নিবীরদের স্থায়ীকরণের পরিমাণটা এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়িতে দিতে চলেছে কেন্দ্র।

এদিকে, শুক্রবার ১৫ আগস্ট। দেশের স্বাধীনতা দিবস। গোটা দেশে পালিত হবে স্বাধীনতা দিবস। দিল্লির অনুষ্ঠানে স্বয়ং উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলাতেও হবে অনুষ্ঠান। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রান্তে পালিত হবে দিনটি। কোনও নাশকতামূলক ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে কড়া নজর রেখেছে কেন্দ্র। বড় বড় রেল স্টেশন থেকে শুরু করে বিমানবন্দরগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। 

সীমান্ত এলাকাতেও কড়া নজরদারি চলছে। যদিও পহেলগাঁও হামলার পর সীমান্তে সীমান্তে নজরদারি আরও বাড়িয়েছেন জওয়ানরা। কিন্তু ১৫ আগস্টের আগে তা আরও কয়েকগুণ বাড়ানো হল। কলকাতার শিয়ালদহ, হাওড়া স্টেশন ও বিমানবন্দরেও কড়া নজরদারি চলছে।