আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ের জন্য জোরাজুরি। বিধবা প্রেমিকার দাবিতে নাজেহাল তরুণ। অবশেষে দুনিয়া থেকেই গায়েব করার পরিকল্পনা করল সে। দেখা করার অজুহাতে প্রেমিকাকে ডেকে কুপিয়ে খুন করল‌। দেহ পুঁতে দিল কলাবাগানে মাটির তলায়। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুতে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ইরোড জেলায়। দিন কয়েক ধরেই ৩৫ বছর বয়সি এক যুবতী নিখোঁজ ছিলেন। পরে জানা যায়, তাঁকে কুপিয়ে খুন করার পর কলাবাগানে পুঁতে দেয় ২৭ বছরের এক তরুণ। এই ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত যুবক পলাতক। অবশেষে অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, ওই তরুণের সঙ্গে যুবতীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলেই জানা গেছে। গোবিচেত্তিপালওয়াম শহরের একটি কলাবাগানে তিন ফুট গভীর মাটির তলা থেকে যুবতীর পচাগলা দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃষ্টির পর ওই জমিতে মাশরুম তুলতে গিয়েছিলেন কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। তখনই সকলের চোখে পড়ে, মাটির তলা থেকে একগোছা চুল বেরিয়ে রয়েছে। আর সেই জায়গায় পড়ে রয়েছে রক্তমাখা একটি ছুরি। 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত যুবতীর নাম, সোনিয়া। তিনি আপ্পাকুদাল শহরের বাসিন্দা ছিলেন। রবিবার থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। কাজ সেরে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল। দুই বছর আগে সোনিয়ার স্বামী মারা যান। বিধবা সোনিয়ার এক ছেলে, এক মেয়ে। মায়ের সঙ্গে সন্তানদের নিয়ে থাকতেন তিনি। 

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত মোহন কুমার ওই কলাবাগানের মালিক। বি.কম গ্র্যাজুয়েট ছিল সে। স্বামীর মৃত্যুর পর তার সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সোনিয়ার। বিয়ের জন্য মোহনকে জোরাজুরি করেছিলেন সোনিয়া। এর জেরেই খুনের ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার দিন আগে থেকেই কলাবাগানে মাটি খুঁড়ে রেখেছিল মোহন। রাত আটটা নাগাদ সোনিয়াকে সেখানে ডাকে। এরপর কুপিয়ে খুন করে তাঁকে। এরপর মাটির তলায় পুঁতে দেয়। সোনিয়ার জামাকাপড় ও ফোন পুড়িয়ে পাশের খালে ফেলে দেয়। খুনের পরদিন সকালেও ঘটনাস্থলে যায় সে। কিন্তু সে কিছুই জানে না বলে পুলিশকে জানিয়েছিল। সোমবার তাকে গ্রেপ্তার করেছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। 

প্রসঙ্গত, গত জুন মাসেও এমন এক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী ছিল বেঙ্গালুরু। হাতে ছিল স্ত্রীর কাটা মুণ্ডু। দরদর করে ঘামছে যুবক। কাঁপতে কাঁপতে হাজির থানায়। যুবকের এই দশা দেখে শিউরে ওঠে খোদ পুলিশ। অবশেষে পুলিশের সামনেই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করল যুবক। যা শুনেই চমকে ওঠেন সকলে। বর্তমানে পুলিশের জালে সে। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। আনেকাল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন ২৬ বছরের মনসা। কয়েক বছর আগে শঙ্করের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। খুদে কন্যাসন্তান রয়েছে তাঁদের। মনসা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত রয়েছে, তেমনটাই সন্দেহ করত শঙ্কর। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ঘিরে পারিবারিক অশান্তির জেরেই মনসাকে খুন করে সে। তারপর কাটা মুণ্ডু নিয়ে থানায় যায়। 

শঙ্কর পুলিশকে জানিয়েছে, ৩ জুন কাজের অজুহাতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে‌। মনসাকে জানিয়েছিল, পরেরদিন সকালে ফিরবে। কিন্তু সেদিন রাতেই বাড়ি ফিরে আসে। মনসা বাড়িতে অন্য কারও সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে কিনা, তা দেখতেই বাড়ি ফিরেছিল। সেদিনেই দু'জনের তুমুল অশান্তি হয়। এরপর বাড়ি ছেড়ে চলে যান মনসা। 

শুক্রবার আবার বাড়ি ফিরে আসেন মনসা। হেনস্থা করার জন্য শঙ্করকে ব্যাপক কটুক্তি করেন। তখনই আবারও ঝগড়া, ঝামেলা হয় তাঁদের। গতকাল রাতে মনসাকে মারতে মারতে খুন করে শঙ্কর। এরপর মুণ্ডু কেটে, সেটি নিয়ে থানায় পৌঁছয়। স্ত্রীকে সহ্য করতে না পেরেই যে খুন করেছে, তাও জানায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। শঙ্করকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। ঘটনার মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।