আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় মেয়ে৷ খবর অনুযায়ী, মাত্র ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী আচমকা নিখোঁজ হয়৷ ঘটনা ঘিরে তুলকালাম রাজ্যজুড়ে। জানা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচে ঘটনাটি ঘটে৷ দুদিন আগে সে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছিল। গতকাল, তার ভাই তিনজনের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। আজ, বাড়ির অদূরেই একটি বাগান থেকে উদ্ধার হলো সেই কিশোরীর নিথর দেহ। শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন মেলে। পুলিশের অনুমান ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা ওই কিশোরীকে প্রথমে অপহরণ করে৷ তারপর ধর্ষণ করে নৃশংস ভাবে হত্যা করে৷ জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা কিশোরীর গলা কেটেছে, হাত-পা ভেঙে দিয়েছে এবং তার নাকে বালি ও আঠা ভরে দিয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, হত্যার আগে তাদের মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছিল এবং তারপরই দেহ ফেলে দেওয়া হয়। নির্যাতিতার মৃতদেহের পাশে এক আত্মীয়কে বারবার কেঁদে কেঁদে ধর্ষণের অভিযোগ করতে শোনা যায়।
বাহরাইচের মিহিপুরওয়ার সার্কেল অফিসার হর্ষিতা তিওয়ারি জানিয়েছেন, তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, কিশোরীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত করছে।
উল্লেখ্য, রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে একের পর এক অপরাধের ঘটনা নিয়ে যখন বিরোধী পক্ষ শাসক দল বিজেপি-কে কোণঠাসা করছে, ঠিক সেই সময়েই জাতীয় অপরাধ রেকর্ডস ব্যুরোর (NCRB) সর্বশেষ রিপোর্ট বলছে, উত্তরপ্রদেশে অপরাধের হার তুলনামূলকভাবে কম। আনুমানিক ৫৮.৬ শতাংশ। যদিও তথ্য অনুযায়ী, দেশে মহিলাদের বিরুদ্ধে নথিভুক্ত মোট অপরাধের (৪,৪৮,২১১) প্রায় ১৪.৮১ শতাংশ এই রাজ্যেই ঘটে।
অন্যদিকে, পারিবারিক বিবাদের জেরে আরেক ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। ঘটনাটি ঘটে হামিরপুরে। এক যুবক তাঁর ২৪ বছর বয়সি স্ত্রীকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নৃশংসতার এখানেই শেষ নয়। খুনের পর অভিযুক্ত তার তিন বছরের শিশুসন্তানকে মায়ের লাশের সঙ্গেই ঘরে তালা দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ রবিবার এই খবর জানিয়েছে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই তোলপাড় চারিদিক।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম মইনউদ্দিন৷ সে সরকারি রেশন ডিলার। বিবাদের জেরে সে তার স্ত্রী রোশ্নিকে পিটিয়ে খুন করে। খবর অনুযায়ী, মউদাহা থানা এলাকার একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, বছর চারেক আগে মইনউদ্দিন ভালোবাসে রোশ্নিকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু পরে তাদের মধ্যে নানা খুটিনাটি বিষয় নিয়ে বিবাদ লেগে থাকত।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তীব্র ঝগড়া শুরু হয়। অভিযোগ, সেই সময় রাগের মাথায় মইনউদ্দিন তার স্ত্রীর ওপর লোহার রড নিয়ে চড়াও হয়। আঘাত গুরুতর হওয়ায় ঘটনাস্থলেই রোশ্নির মৃত্যু হয়।
রবিবার সকালে তালা দেওয়া ঘর থেকে শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পান পরিবারের সদস্যরা। এর পরই তাঁরা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। ভিতরে গিয়ে তাঁরা যা দেখেন, তাতে আঁতকে ওঠেন সকলে৷ ছোট্ট শিশু তার মায়ের রক্তমাখা দেহের পাশে বসে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।
ঘটনার জেরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মনোজ কুমার গুপ্ত জানিয়েছেন, "তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্তকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
