আজকাল ওয়েবডেস্ক: নিউরন বা স্নায়ুকোষ তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়াকে নিউরোজেনেসিস বলা হয়। এটি মূলত ভ্রূণের বিকাশের সময় ঘটে থাকে, যেখানে নিউরাল স্টেম সেলগুলি বিভাজিত হয়ে নিউরন তৈরি করে। একবার নিউরন তৈরি হয়ে গেলে, সেটি আর বিভাজিত হতে পারে না। কিছু ক্ষেত্রে, প্রাপ্তবয়স্কদের মস্তিষ্কেও নতুন নিউরন তৈরি হতে দেখা যায়। 


নিউরন তৈরির প্রক্রিয়াটি হল:
নিউরোজেনেসিস: এটি হল নিউরন তৈরির মূল প্রক্রিয়া। নিউরাল স্টেম সেল থেকে নিউরনের সৃষ্টি হয়। 


কোষ বিভাজন: নিউরাল স্টেম সেলগুলি বিভাজিত হয়ে নিউরন এবং অন্যান্য স্নায়ু কোষ তৈরি করে। 


ডাইভার্সিফিকেশন: নিউরনগুলি বিভিন্ন ধরণের হতে পারে এবং তাদের নির্দিষ্ট কাজ থাকে। যেমন, সংবেদী নিউরন তথ্য গ্রহণ করে এবং মোটর নিউরন সংকেত প্রেরণ করে।


দুটি নিউরনের মধ্যে সংযোগ স্থাপন হয়, যা সাইন্যাপ্স নামে পরিচিত। এই সংযোগের মাধ্যমে তথ্য এক নিউরন থেকে অন্য নিউরনে স্থানান্তরিত হয়।  নিউরনগুলি মস্তিষ্কের প্রধান কোষ যা সংকেত প্রেরণ ও গ্রহণ করে, যা আমাদের চিন্তা করতে, স্মৃতি তৈরি করতে এবং বিভিন্ন কাজ করতে সাহায্য করে।


নিউরনের সঙ্গে ব্রেনের স্মৃতির এক অবাক করা যোগাযোগ থাকে। সেখানে প্রতিটি সময় সে নতুন নিউরনকে তৈরি করতে থাকে। ফলে মানুষ যদি ঘুমিয়ে পড়ে তাহলেও তার মাথায় নতুন নিউরন তৈরি হতে থাকে। এর প্রধান কারণ হল পুরনো স্মৃতিকে ধরে রাখার পাশাপাশি যদি নতুন স্মৃতির জায়গা না হয় তাহলে ব্রেন নিজের মতো করে কাজ করতে পারবে না। সেখান থেকে তার বিরাট সমস্যা তৈরি হবে। তাই প্রতিটি সময় সে নতুন নিউরন তৈরি করতে থাকে।


একটা সময় আসে যখন ব্রেন নতুন নিউরনকে দিয়ে বেশি কাজ করিয়ে নিতে থাকে। তখন তার ব্রেনে থাকা পুরনো নিউরনগুলি অনেকটা কম কাজ করে। এভাবেই ব্রেনের মধ্যে পুরনো স্মৃতিগুলি অনেক বছর ধরে থেকে যায়। নতুন স্মৃতি তার জায়গা নিয়ে নিজের কাজ করতে থাকে।