আজকাল ওয়েবডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর, মাত্র ২৫ মিনিটে পাকিস্তানি জঙ্গিঘাঁটি ধূলিসাৎ করে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। পহেলগাঁও হামলার পাল্টা ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতে থরথর করে কাঁপছে ইসলামাবাদ। ভারতীয় যুদ্ধবিমানের মোকাবেলায় দিশাহারা পাক বাহিনী ব্যবহার করেছিল জেএফ-১৭।
পাকিস্তানের সেনাকে চাঙ্গা করতে প্রায়শই 'বন্ধুত্বের' হাত বাড়িয়ে দেয় চিন। বেশ কয়েক বছর আগে পাকিস্তান ও চিন যৌথ ভাবে যুদ্ধবিমান জেএফ-১৭ তৈরি করেছিল। মূলত পাকিস্তানই এই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে। চিনা রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ পায় যে, জেএফ-১৭ ব্যবহার করেই পাক বাহিনী ভারতের তিনটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছিল।
গ্লোবাল টাইমসের ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আপত্তি জানায় নয়াদিল্লি। এই চিনা সংবাদ মাধ্যমের দাবিকে ভারত 'ভিত্তিহীন' বলে উড়িয়ে দিয়েছে এবং 'ভুল তথ্য ছড়ানোর' অভিযোগ তুলেছে।
বেইজিংয়ের ভারতীয় দূতাবাস এক্স-বার্তায় জানিয়েছে, 'প্রিয় গ্লোবাল টাইমস আপনাকে সুপারিশ করব যে, আপনি এই ধরণের বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করার আগে তথ্য যাচাই করুন এবং আপনার উৎসগুলি যাচাই করুন। যখন সংবাদমাধ্যমগুলি সূত্র যাচাই না করে এই ধরনের তথ্য পরিবেশন করে, তখন তা দায়িত্ব এবং সাংবাদিকতার নীতির নিরিখে গুরুতর অবক্ষয় হিসাবে প্রতিফলিত হয়।'
এরপরই নড়েচড়ে বসে বেজিং। পাক বাহিনীর হাতে ভারতীয় যুদ্ধ বিমান ধ্বংস এবং তাতে জেএফ-১৭ব যুদ্ধ বিমানের ব্যবহার হয়েছিল কিনা সেই বিষয়ে প্রশ্ন উঠতেই চিনা বিদেশমন্ত্রক দাবি করেছে যে, তারা "বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নয়"। তাদের প্রতিবেদনে এমনই দাবি সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের।
বুধবার ভোর ১.০৫-য়ে শুরু হওয়া ২৫ মিনিটের অপারেশন সিন্দুরে ভারতীয় বিমান, নৌ এবং স্থল বাহিনী একত্রে, পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গি শিবির ধ্বংশ করে। এতেই প্রবল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জৈশ-ই-মোহাম্মদ, লস্কর-ই-তৈয়বা এবং হিজবুল মুজাহিদিন-সহ একাধিক নিষিদ্ধ সংগঠনের।
২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পাহেলগাঁওতে ২৬ জনের হত্যার প্রতিশোধ নিতে ভারত এই "পরিমিত এবং অ-উত্তেজনাপূর্ণ" পাল্টা আক্রমণ চালায়। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে অপারেশন সিন্দুরের অভিঘাত ২০১৯ সালের বালাকোট অপারেশনের চেয়েও বেশি ছিল।
এরপর, বেজিং ভারত ও পাকিস্তান উভয়কেই এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে সর্বোচ্চ সংযম অনুশীলন করার আহ্বান জানিয়েছে। তারা আলোচনার মাধ্যমে বিরোধের নিষ্পত্তি করার পক্ষে সোচ্চার হয়েছে। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেছেন, "চিন সকল ধরণের সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা করে। আমরা উভয় পক্ষকে শান্তি ও স্থিতিশীলতার বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করার, শান্ত থাকার, সংযম প্রদর্শন করার এবং পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।"
