আজকাল ওয়েবডেস্ক: কৃতকর্মের কুফল হারে হারে টের পাচ্ছে ইসলামাবাদ। ভারতীয় বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার পর পাকিস্তান ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। পাকিস্তান বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (পিএএ) মাত্র দু'মাসের মধ্যে ১,২৪০ কোটি টাকার (৪.১ বিলিয়ন) ক্ষতি করেছে। পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক সরকারি বিবৃতির উদ্ধত করে এই সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে সেদেশের সংবাদপত্র 'দ্য ডন'-এ।
চলতি বছর ২২শে এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটে। এই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছিলেন। একজন ঘোড় চালক ছাড়া নিহতদের বাকি সকলেঅ ছিলেন পর্যটক। ওই হামলায় জড়িত জঙ্গিরা পাক মদতপুষ্ট বলে দাবি করে ভারত। এর পরই সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা করেছিল নয়াদিল্লি। তার পাল্টা ফোঁস করে ওঠে ইসলামাবাদ। ভারতের কঠোর পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় প্রতিবেশী দেশটি তার আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়।
'দ্য ডন'-এর প্রতিবেদন অনুসারে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মহম্মদ আসিফ নিশ্চিত করেছেন যে, ২৪শে এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়া নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটি অতিরিক্ত রাজস্বের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ভারতীয় বিমান সংস্থা পরিচালিত, মালিকানাধীন বা লিজ নেওয়া বিমান-সহ সমস্ত ভারতীয় নথিভুক্ত উড়ানের জন্যতাদের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমোদন বাতিল করে পাকিস্তান।
ফলস্বরূপ, ২৪শে এপ্রিল থেকে ৩০শে জুনের মধ্যে ওভারফ্লাইং চার্জ থেকে পাকিস্তান বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বা পিএএ-এর রাজস্ব ব্যাপক হারে কমেছে। যার ফলে প্রতিদিন ১০০-১৫০টি ভারতীয় বিমান এবং পাকিস্তানের ট্রানজিট বিমান চলাচল প্রায় ২০ শতাংশ কমে গিয়েছে।
কিন্তু দমতে নারাজ শাহবাজ শরিফ সরকার। ভারতীয় বিমানের জন্য তার আকাশসীমা বন্ধের সময় ২৪শে অগাস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছে ইসলামাবাদ। পিএএ-এর জারি করা একটি নোটামে বলা হয়েছে, "এই নিষেধাজ্ঞা এখন ২৪শে অগাস্ট ভোর ৪.৫৯ পর্যন্ত বহাল থাকবে। ভারতীয়-নথিভুক্ত বিমান এবং ভারতীয় বিমান সংস্থা/অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত, মালিকানাধীন বা লিজ নেওয়া বিমানের জন্য পাকিস্তানি আকাশসীমা উপলব্ধ নয়, যার মধ্যে সামরিক বিমানও রয়েছে।"
অন্যান্য আন্তর্জাতিক রুটে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলি প্রভাবিত হয়নি। অন্যদিকে পাকিস্তানি বিমান সংস্থাগুলি এখনও ভারতীয় আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারে না। বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন যে, নোটাম ২৩শে অগাস্ট, ২০২৫ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
পাহালগাঁও হামলা, যার ফলে ২৬ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছিল, তার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার একটি শাখা 'দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট'। জবাবে, ভারত একাধিক প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে, যার মধ্যে রয়েছে অপারেশন সিঁদুর। ভারতীয় বায়ুসেনা পরিচালিত এই অভিযানে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত-কাশ্মীরের গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গি ঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- দুই বছর ধরে 'ওইটা' দিলেও অসুখী বউমা! শ্বশুরের 'আসল জিনিস' নিয়ে টানাটানিতে শিউরে ওঠার মতো কাণ্ড
