আজকাল ওয়েবডেস্ক: খুলে দেওয়া হল ব্যারিকেড। প্রায় ২৪ ঘণ্টা অবস্থানের পর জুনিয়র ডাক্তাররা দেখা করতে গেলেন কলকাতা পুলিশের সিপি বিনীত গোয়েলের সঙ্গে। সঙ্গে রইল দাবিপত্র। যেখানে রয়েছে কমিশনারের পদত্যাগের দাবি। সোমবার দুপুর দুটো থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ডাক্তারি প্রতিবাদে দাবি আদায় করলেন চিকিৎসকরা।

 

তাঁরা বলেছিলেন, ব্যারিকেড সরিয়ে বিবি গাঙ্গুলি থেকে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের ক্রসিং পর্যন্ত যেতে দিতে হবে তাঁদের। রাখা যাবে না কোনও ব্যারিকেড। কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন ২২ জনের প্রতিনিধি দল। সেখানে গিয়ে তাঁরা ডেপুটেশন জমা দেবেন। সেই জমা দেওয়ার একটি ছোট্ট ভিডিও করবেন তাঁরা। তারপর কথা বলবেন কমিশনারের সঙ্গে। বাইরে বেরিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমকে জানাবেন কী কথা হল। আলোচনা যদি সদর্থক হয় তাহলে তাঁরা আন্দোলন তুলে নেবেন।

 

সেই মতোই দুপুর ২.৪০ নাগাদ পুলিশকর্মীরা ধীরে ধীরে খুলতে থাকেন ব্যারিকেডের তালা। গার্ডরেল সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়। জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, মানববন্ধন করে তাঁরা সিপির কাছে যাবেন শান্তিপূর্ণ ভাবে। সেই মতোই ব্যারিকেড সরানোর পর শান্তিপূর্ণ মিছিল করে পড়ুয়ারা বেশ কিছুটা এগিয়ে যান। তারপর ২২ জনের প্রতিনিধি দল কমিশনারের কাছে যান। আন্দোলনরত চিকিৎসকের তরফে অনিকেত মাহাতো বলেন, এই ২২ ঘণ্টা দেরি করানোর কোনও প্রয়োজন ছিল না। সোমবার সকালেই এই দাবি মেনে নিলে সারারাত আমাদের বসে থাকতে হত না

 

জুনিয়র চিকিৎসকদের এই আন্দোলনে সোমবার রাতেই পৌঁছে গিয়েছিলেন সোহিনী সরকার, চৈতি ঘোষাল, লগ্নজিতা চক্রবর্তীর মত শিল্পীরা। মঙ্গলবার সকালে লালবাজার চত্বরে দেখা যায় পরিচালক সৃজিত মুখার্জিকেও। তবে, সোমবার রাতে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির গন্ধ পেয়ে তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গাঙ্গুলিকে কার্যত তাড়িয়ে ছাড়েন আন্দোলনকারীরা। এদিকে, মঙ্গলবার এই আন্দোলনে যোগ দেন বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থী। ফলে, উত্তাপ বাড়ছিলই। বিধানসভায় একদিকে যখন ধর্ষণ বিরোধী বিল পাশ হল তখনই প্রশাসনিক সদিচ্ছারও নজির দেখল শহর কলকাতা।