আজকাল ওয়েবডেস্ক: আরজিকর নিয়ে আন্দোলনের জেরে চিকিৎসকরা কাজে যোগ না দেওয়ায় ২৩ জনের মৃত্যু, এমনই কথা আদালতে জানাল স্বাস্থ্য দপ্তর। চিকিৎসকদের আন্দোলনের জেরে এই রোগী-মৃত্যু, আদালতে দাবি রাজ্যের। আন্দোলনের পর থেকেই বারবার রাজ্য সরকার এই নিয়ে আবেদন করে এসেছে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও বারংবার আবেদন করেছেন সরকারি হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদের, কিন্তু তাও আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন চিকিৎসকরা।  এবার সেই নিয়েই আদালতের সামনে সরব হলেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বাল। তিনি কার্যত, এই রোগীমৃত্যুর কারণ হিসাবে দাঁড় করালেন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিকেই। 

 


আদালতে রাজ্য সরকারের আইনজীবী স্পষ্টত বলেন, রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালের কার্যক্রম নির্ভর করে জুনিয়ার চিকিৎসক ও রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের উপর। তাঁরা প্রায় গত একমাস ধরে এই রকমের কর্মবিরতিতে যাওয়ায় রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। যে সরকারি হাসপাতাল গরিব মানুষের চিকিৎসার মূল জায়গা, সেখানেই সেই রোগীরা চিকিৎসা পাচ্ছেন না। 

 


তিনি আদালতে আরও দাবি করেন, ওপিডি নিয়মিত কাজ না করায় এই ক'দিনে প্রায় ছ'লক্ষ মানুষ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এর ফলে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। এ ভাবে চিকিৎসকরা কাজে না ফিরলে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। যদিও চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে থাকা আইনজীবী বারংবার বলেন, সমস্ত চিকিৎসকরাই কাজে ফিরে এসেছেন। সেখানে তিনি টেলি-মেডিসিন পরিষেবার কথাও উল্লেখ করেন। কিন্তু তাতেও ঘটনার ভার একেবারেই কমেনি।  

 


এ ছাড়াও কপিল সিব্বাল বারংবার উল্লেখ করেন, বেশ কয়েকটি মারণ রোগের কথাও, বলেন ডায়ালিসিসের কথাও। তিনি বলেন, এগুলি অনেকক্ষেত্রে ব্যাহত হচ্ছে। পাল্টা চিকিৎসকদের পক্ষের আইনজীবী বলেন, জুনিয়ার চিকিৎসকরা ভয়ে আছেন। তাঁদের ক্রমাগত বিভিন্ন হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত না করতে পারলে তাঁরা কখনই চিকিৎসার কাজে ফিরতে পারবেন না। তাঁদের নিরাপত্তা আগে নিশ্চিত করতে হবে। 

 


পরবর্তীতে, এই বিষয়টি শুনানিতেই আদালতের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আহ্বান করেন প্রধান বিচারপতি।