আজকাল ওয়েবডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের ৩৫ দিন পর তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় এবার গ্রেপ্তার হল প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এই ঘটনায় টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার রাতে সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
১৭ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার আরজি কর কাণ্ডের পরবর্তী শুনানি সুপ্রিম কোর্টে। এদিন তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করবে তদন্তকারী সংস্থা। শুনানির ৭২ ঘণ্টা আগেই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসিকে গ্রেপ্তার করা হল। সূত্রের খবর, আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা, দেরিতে এফ আই আর দায়ের, সহ একগুচ্ছ অভিযোগের ভিত্তিতে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ওঠা একাধিক অভিযোগ আবারও প্রকাশ্যে আসে। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন হাসপাতালের প্রাক্তন অতিরিক্ত সুপার আখতার আলি। ১৬ দিন একটানা জিজ্ঞাসাবাদের পর আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। এর ২৪ ঘণ্টা পরেই তাঁকে সাসপেন্ড করে স্বাস্থ্য দপ্তর।
আরজি কর কাণ্ডের দিন কয়েক পরেই অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। এরপর তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদেও বসানো হয়। এরপর কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সন্দীপ ঘোষকে ছুটিতে পাঠিয়েছিল স্বাস্থ্য ভবন। আন্দোলনরত চিকিৎসকরা দাবি করেছিলেন, স্বাস্থ্য দপ্তরের পদ থেকেও সন্দীপ ঘোষকে সরানো হোক। স্বাস্থ্য দপ্তরের সাসপেন্ড করার পাশাপাশি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকেও সরানো হয় সন্দীপ ঘোষকে। সরানো হয় মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্যানেল ও এথিক্স কমিটি থেকেও।
