আজকাল ওয়েব ডেস্ক: হঠাৎ করে চোখ লাল হয়ে চুলকানি,ফুলে যাওয়া বা জল পড়া, এক নাগাড়ে হাঁচি বা নাক বন্ধ হলে সাধারণত কেউ পাত্তা দেয় না। আবার জল গিলতে, কথা বলতে অস্বস্তিবোধ বা সবসময় গলায় কিছু দলা পাকিয়ে আটকে থাকার মতো লক্ষণকেও আমরা এড়িয়ে চলি। কিন্তু এই দু'ধরণের লক্ষণের একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে।

গলায় কফ জমে যাওয়া খুব সাধারণ ব্যাপার। অতিরিক্ত জমতে থাকলে শরীর নিজে থেকেই তা বের করে দেয়।কাশতে কাশতে সর্দি উঠে বেরিয়ে গেলেও খুব একটা সমস্যা হয় না। কিন্তু এই শ্লেষ্মা যখন শুকিয়ে গিয়ে গলার কাছে আটকে যায়, তখনই সমস্যা শুরু হয়। শুতে গেলেও মনে হয় গলায় কিছু আটকে আছে।ঘন ঘন গলায় এমন মিউকাস বা শ্লেষ্মা জড়ো হলে তা সত্যি চিন্তার বিষয়।

শ্বাসযন্ত্রের ইনফেকশন থেকে ঠান্ডা লাগা, কাশি বা অন্যান্য সমস্যার সমাধান ঘরোয়া টোটকায় সেরে যায়। কিন্তু এক নাগাড়ে গলায় অস্বস্তির কারণ কিন্তু অন্য কোন বড় অসুখের লক্ষণ হতে পারে।সেই সময় অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এইসব রোগের উপসর্গ হতে পারে শ্লেষ্মা জমার কারণ।

গলায় কিছুদিন অন্তর শ্লেষ্মা জমার অন্যতম একটি কারণ হলো অ্যালার্জি।পোলেন, বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জেন বা ধুলো শরীরে আশ্রয় নিলে মিউকাসের প্রভাব বেড়ে যায়। সঙ্গে হাঁচি, নাক দিয়ে জল পড়া ও চোখ ফুলে যায়।যা অ্যালার্জিক রায়নাইটিসের লক্ষণ।

নাক বন্ধ, মাথায় যন্ত্রনা, মুখ ও মাথায় ভারী ভাব সাইনাসের প্রদাহ বাড়লে হয়।এই কারণে শ্লেষ্মা বৃদ্ধি পায় গলায়।

যদি আপনার ঘন ঘন শ্বাসনালীতে শ্লেষ্মা জমে যায় তবে নিশ্চিতভাবে তা ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিসের জন্য পারে। অত্যধিক ধূমপান ও দূষনের কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়।বুকে চাপ অনুভব করা, কাশি ও শ্বাসকষ্ট হয় অতিরিক্ত শ্লেষ্মা জমে।

 

গলায় ব্যথা, খাবার গিলতে সমস্যা হওয়া ও হঠাৎ গলার স্বরে পরিবর্তন গলার ক্যান্সারের লক্ষণ।এইসময় অতিরিক্ত শ্লেষ্মা জমে গলায় অস্বস্তি বোধ হয়।এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন হয়ে থাকে যার জন্য ডায়রিয়া বা পেটের যন্ত্রণাও হতে পারে।