আজকাল ওয়েব ডেস্ক: কলাপাতায় খাওয়া বঙ্গ সমাজের বহু পুরনো রীতি। বিয়েবাড়ির ভোজ থেকে শুরু করে যেকোনও অনুষ্ঠানে কলাপাতায় খাওয়া ছিল রেওয়াজ।শুধু বঙ্গ সমাজ নয়, দক্ষিণ ভারতেও কলাপাতায় খাওয়ার প্রচলন আছে এখনও। অনেক অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হয় কলাপাতা।
কলাপাতা খুব সহজেই পাওয়া যেত এবং তা ছিল সস্তাও, তাই এই পাতায় খাওয়ার প্রচলন শুরু হয়।
কিন্তু এই পাতায় খাওয়ার কিছু বৈজ্ঞানিক কারণও রয়েছে।কলাপাতায় পলিফেনল নামে এক ধরণের পদার্থ থাকে যা ভিতর থেকে শরীরকে শক্তিশালী করে।এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট।খাবার যখন কলাপাতায় পরিবেশন করা হয়, তখন খাবারের সঙ্গে এই পলিফেনল মিশে যায় ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
কলাপাতা প্রাকৃতিকভাবে পচনশীল, অর্থাৎ নিজে থেকেই পচে গিয়ে মিশে যায় মাটিতে।তাই প্লাস্টিকের প্লেটের মতো কলাপাতা ফেলা নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হবে না।নানা রঙের খাবার কলাপাতায় সাজিয়ে দিলে দেখতেও বেশ সুন্দর হয়।
ঠান্ডা-গরমের কারণে গলায় ইনফেকশন হলে কলা পাতায় খাওয়া শুরু করুন। আর যদি এমনটা করা সম্ভব না হয়, তাহলে পরিমাণ মতো কলা পাতা ফুটিয়ে সেই জল খান।কলা পাতায় উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদানের জন্য খাবার টাটকা থাকে অনেকক্ষণ।বজায় থাকে খাবারের গুণমান এবং স্বাদ।পাশাপাশি সংক্রমণ রুখতেও সাহায্য করে এই পাতা।শুধু খাবার খাওয়ার আগে ভালভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে ভুলবেন না।ক্যান্সার সেলের জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা কমায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করে।
ভেটকি মাছ কিংবা আমিষ পদেরই পাতুরি হয় তা কিন্তু নয়। নিরামিষ হিসেবে ছানার পাতুরি খেতেও খুবই সুস্বাদু হয়। কলাপাতার মধ্যে একটা সুন্দর গন্ধ থাকে যা রান্নাতেও যুক্ত হয়। মানে পাতুরি তৈরির ক্ষেত্রে মূল পুর যখন কলাপাতায় মুড়ে তারপর রান্না করা হয়, তখন ওই খাবারে যুক্ত হয়ে যায় কলাপাতার সুগন্ধও।
