আজকাল ওয়েবডেস্কঃ পোলাও থেকে ফ্রায়েড রাইস, যে কোনও তরকারি বা মাংস, তেজপাতার ফোড়ন না পড়লে রান্না যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এপ্রিল থেকে মে মাসে গাছে নতুন পাতার আর্বিভাব হয়। স্যুপ, পায়েস, পোলাও ও অন্যান্য সিদ্ধ জাতীয় খাবারে সুগন্ধ যোগ করতে এ পাতা ব্যবহার করা হয়। এর স্বাদ ও গন্ধে রান্নায় আলাদাই একটা আমেজ তৈরি করে। আবার জ্যোতিষশাস্ত্রে তেজপাতাকে পুড়িয়ে বাড়ি থেকে অশুভ শক্তির নাশ করার কথাও বলা হয়েছে। তবে এইসবের বাইরে তেজপাতার রয়েছে আরও বিশেষ কিছু গুণাগুণ।

 বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে তেজপাতা ফোটানো জল খেলে মিলবে দারুণ উপকার। জানুন এই জল খেলে কী-কী উপকার পাবেন। এই পাতায় রয়েছে ভরপুর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এই পাতা। পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা মেটাতে সাহায্য করে এটি। বদহজমের সমস্যা মেটাতেও সাহায্য করে এই পাতা। শরীরের ক্লান্তি দূর করতে জুড়ি নেই তেজপাতার জলের। শরীরে দারুণ শক্তি জোগায় এটি। তাই রোজ খেতে পারেন এই জল। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাডা়তে সাহায্য করে। এ ছাড়া ফুসফুস ও হার্ট কেও সুরক্ষিত রাখে। প্রথমে তেজপাতা নিন। এ বার পাতাগুলো ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। এক গ্লাস জল ফুটিয়ে নিন। জল ফুটে উঠলে তাতে কিছু তেজপাতা দিন। ৫ থেকে ১০ মিনিটের জন্য জলে তেজপাতা দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। এরপর আঁচ বন্ধ করে জলটা ঠান্ডা হতে দিন। এবার জল ছেঁকে কাপে নিয়ে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। গরম গরম খান। ইচ্ছে হলে এতে সামান্য আদা বা লেবুর রস মেশাতে পারেন।

তেজপাতা আপনার স্বাভাবিক হজমশক্তি ফিরিয়ে আনবে। এটি শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দেয়। অতিরিক্ত প্রস্রাবের সমস্যা কমায়। তেজপাতায় থাকা এনজাইম দ্রুত খাবার ভাঙতে পারে ফলে যারা অন্ত্রের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য তেজপাতা অনেক উপকারী।বদহজমের সমস্যা মেটাতে ও আথ্রাইটিসের সমস্যার সুরাহা হিসাবে অনেকেই তেজপাতা ফোটানো জল পানের পরামর্শ দেন। তবে নির্দিষ্ট কোনও শারীরিক অবস্থা থাকলে , চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া তা খাওয়া ঠিক নয়। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রেও এই তেজপাতা ভেজানো জল উপকারি। শুকনো তেজপাতার গুঁড়ো দিয়ে রান্নাও ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে উপকার দেয়। এই পাতায় ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের সমস্ত গুণ থাকে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই পাতা ভেজানো জল খাওয়া ঠিক কি না তা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ সাপেক্ষ।