আজকাল ওয়েবডেস্ক: অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা সমস্যার সৃষ্টি করে। আর এই সব খাবার থেকে শরীরে জমা হয় টক্সিন। কিছু ভাল অভ্যাস শরীর থেকে সেই টক্সিনকে টেনে বের করে আনার পাশাপাশি অন্যান্য শারীরিক জটিলতাও দূর করে। তেমনই একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস হল রোজ ভাতের সঙ্গে একটি করে শশা খাওয়া। শরীরকে টক্সিন মুক্ত রাখতে সাহায্য করে শশা। এই সবজি শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। সুস্থ ও ফিট থাকার জন্য শরীর ডিটক্স থাকা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, শশায় প্রচুর পরিমাণে জল-সহ ভিটামিন সি এবং কে রয়েছে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই সবজির মধ্যে ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। এই উপকারী উপাদানগুলি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। চিকিৎসকদের মতে, এই ফল ডায়াবেটিস রোগকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে অব্যর্থ।
কাঁচা শশা চিবিয়ে খেলে হজমের সমস্যা এড়ানো যায় সহজেই। দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যায় সহজেই।
রোজকার জীবনে যে সব ভিটামিনের দরকার হয়, তার বেশির ভাগটাই শসার মধ্যে থাকে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় এই সবজি খেলে।
শসাতে অন্তত ৯৫ শতাংশ জল থাকে। যা আমাদের শরীর ঠান্ডা রাখতে ও জলের পরিমাণ পর্যাপ্ত রাখতে সাহায্য করে। ফাইবার, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম উচ্চরক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। শসা ত্বকের ট্যান নির্মূল করতেও সাহায্য করে। এক টুকরো শসা মুখের মধ্যে রাখলে ব্যকটেরিয়া নাশকের কাজ করে। ফলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধও কমায়। চুল ও ত্বকের যত্নেও শশার জুড়ি নেই।
শশাতে থাকা কিউকারবিটানিস ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। ক্যান্সারের জীবানুকে নষ্ট করে। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে যা রিসার্চে প্রমাণিত হয়েছে।
প্রতিদিনের স্ট্রেস, উদ্বেগ, শরীরের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে, ডায়াবেটিস, ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। শশাতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের মাত্রা অনেক বেশি। যা এই স্ট্রেসজনিত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। শশার মধ্যে থাকা বিটা ক্যারোটিন, ম্যাগনেশিয়াম যৌগ দুরারোগ্য ব্যাধি দূর করে।
