রাত যতই বাড়ুক একদৃষ্টে ঘুরন্ত পাখার দিকেই রয়েছে আপনার চোখ। শত চেষ্টা করেও ঘুমের কোনও পাত্তা নেই। বেশ অনেকক্ষণ এপাশ ওপাশ করে শেষমেশ সেই মোবাইলের নীল আলোয় খানিক খুটখুট করার অভ্যাস। ব্যস, ঘুমের আরও বারোটা বেজে গেল! কী নিজের সঙ্গে মিল পাচ্ছেন তো? তবে শুধু আপনি নন, আজকাল ঘুম না হওয়ার সমস্যায় ভুক্তভোগী অনেকেই। শরীরে এক রাশ ক্লান্তি থাকলেও বিছানায় শুলেই ঘুম যে আর আসে না।
আধুনিক জীবনে অনিদ্রা বা অল্প ঘুমের সমস্যা এখন অনেকেরই সঙ্গী। অনেকে রাতভর ঘুম না এলে তাড়াহুড়ো করে ঘুমের ওষুধ খেতে শুরু করেন। যা শরীরের জন্য মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুমের ওষুধের পরিবর্তে কিছু নির্দিষ্ট ড্রাই ফ্রুটস নিয়মিত খেলে স্বাভাবিকভাবেই মিলতে পারে গভীর ও আরামদায়ক ঘুম। গবেষণায় দেখা গেছে, বাদামজাতীয় কয়েকটি শুকনো ফলে রয়েছে মেলাটোনিন ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপাদান, যা শরীরকে শান্ত করে ও ঘুমের মান উন্নত করে।
আরও পড়ুনঃ যতই উপকারী হোক, ডাবের জলে লুকিয়ে 'মারাত্মক বিপদ'! কারা ভুলেও খাবেন না এই পানীয়?
 
 কোন কোন ড্রাই ফ্রুটস ঘুমে সাহায্য করে
* কাঠবাদাম: ম্যাগনেশিয়াম ও প্রোটিনসমৃদ্ধ এই বাদাম শরীরকে শিথিল করে ঘুম গভীর করতে সাহায্য করে।
* আখরোট ও পেস্তা: এই দুই বাদামে থাকে মেলাটোনিন, যা শরীরের ঘুম ও জেগে থাকার চক্র নিয়ন্ত্রণ করে। রাতে অল্প পরিমাণে এই শুকনো খেলে দ্রুত ঘুম আসে।
* শুকনো আলুবোখারা (প্রুনস): এতে থাকা ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন বি৬ শরীরে মেলাটোনিন উৎপাদন বাড়ায়। ফলে দ্রুত ঘুম আসে।
* ডুমুর: ফাইবার ও খনিজসমৃদ্ধ এই ফল হজম ক্ষমতা ভাল রাখে, ফলে ঘুম আরামদায়ক হয়।
 
 খাওয়ার নিয়ম ও সতর্কতা
পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, রাতে অল্প পরিমাণে এই বাদামজাতীয় শুকনো ফল খাওয়া যেতে পারে। তবে বেশি চিনিযুক্ত বা প্রক্রিয়াজাত শুকনো ফল ঘুমের আগে খাওয়া উচিত নয়, এতে রক্তে শর্করা বেড়ে ঘুম ব্যাহত হতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত খেলে হজমের সমস্যা বা পেট ফাঁপার আশঙ্কা থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঠবাদাম, আখরোট বা পেস্তার মতো শুকনো ফল ঘুমের জন্য প্রাকৃতিক সহায়ক। তাই অনিদ্রার সমস্যায় ভুগলে ওষুধের উপর নির্ভর না করে এইসব শুকনো ফলকেই নিরাপদ বিকল্প হিসেবে বেছে নিতে পারেন।
