আজকাল ওয়েবডেস্কঃ ত্বকের যত্ন নিতে ধাপে ধাপে ‘স্কিন কেয়ার রুটিন’ মেনে চলাই নিয়ম। কিন্তু পুরুষদের কাছে যা একেবারেই না পসন্দ। তাদের কাছে ত্বকের যত্ন মানেই মুখ ধুয়ে নেওয়া ও শীতকালে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা। অনেকেই জানেন না, মহিলাদের থেকে পুরুষের ত্বক বেশি তৈলাক্ত ও  সেন্সিটিভ। 
সারাদিন রোদে ঘুরে, ধুলো ময়লা জমে পুরুষের ত্বক হয়ে যায় মলিন। তাই সঠিক সময়ে সঠিক যত্ন না নিলেই অকালেই ত্বক বুড়িয়ে যায় ও দাগছোপ পড়ে। দেখে নিন কীভাবে যত্ন নেবেন।

ত্বকের যত্নে প্রথমেই করনীয় হলো ক্লিনজিং। ধুলো ময়লা তেল জমে ত্বকের রোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ব্রণ ও ব্ল্যাকহেডসের মতো সমস্যা তৈরি হয়। তাই সকাল ও রাতে ত্বক পরিষ্কার করুন। তাই ছেলেরা দিনে দু’বার ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারলে ভাল। বাইরে থেকে ফিরলে ভাল করে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নেবেন। ছেলেদের জন্য কী ধরনের ফেসওয়াশ জরুরি তা আগে জেনে নেবেন।সেটিই ব্যবহার করুন।

মেয়েরা রোদে বেরনোর সময় যতটা সানস্ক্রিন ব্যবহার করে, পুরুষেরা ততটা করে না। বরং বেশিরভাগ ছেলেরা সানস্ক্রিন ব্যবহারই করে না। সানস্ক্রিন সূর্যের অতিবেগুনি  রশ্মি থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখে। সহজে কালো দাগছোপ পড়তে দেয় না। তাই সানস্ক্রিনের ব্যাপারে খেয়াল রাখলে ভাল হয়। চোখের নীচের ত্বক তুলনামূলক পাতলা হয়। তাই সহজেই এই ত্বক কুঁচকে যায়। ভিটামিন কে আছে এমন সিরাম ব্যবহার করুন চোখের নীচে। ঠোঁটের যত্ন বেশিরভাগ ছেলেই নিতে অভ্যস্ত নয়। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে সহজেই ঠোঁট কালো হয়ে যায়। তাই চেষ্টা করতে হবে ঠোঁটকে নরম ও আর্দ্র রাখার। লিপবামের ব্যবহার তাই খুব জরুরি।

স্নান সেরে নিয়মিত লোশন বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। সেভিং করার সময় ভাল ব্র্যান্ডের সেভিং ক্রিম ব্যবহার করতে হবে, কারণ সেভিং করার পর অনেকের ত্বক রুক্ষ ও লালচে হয়ে যায়। শ্যাম্পু করার সময় বেছে নিতে হবে ছেলেদের জন্য তৈরি শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার। 

সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এক্সফোলিয়েশন করা জরুরি। এক্সফোলিয়েশনে ত্বকের মরা কোষ দূর হয়। রন্ধ্রে জমে থাকা ময়লাও দূর হয়। ত্বক ভিতর থেকে সতেজ এবং জেল্লাদার হয়ে ওঠে। এর জন্য স্ক্রাবিং খুব জরুরি। ঘরোয়া উপাদান দিয়ে স্ক্রাব করে মুখ ধুয়ে নিন। গালে দাড়ি থাকলে পরিষ্কার করুন একদিন অন্তর।

জল বেশি খেলে, ত্বকও সতেজ থাকবে। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে বেশি করে জল খাওয়া জরুরি। একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের দিনে কম করেও তিন থেকে সাড়ে তিন লিটার জল জরুরি। তবে ডায়াবিটিস বা অন্য অসুখ থাকলে, কতটা জল খাবেন তা চিকিৎসকের থেকে জেনে নেওয়া উচিত। এছাড়া ব্রকোলি, বেদানা, টমেটো, পালং শাক প্রভৃতি টাটকা শাকসবজি ফলমূল খেতে হবে। ৮-৯ ঘন্টা ঘুম বাধ্যতামূলক।