আজকাল ওয়েবডেস্কঃ প্রায় সব বাড়িতেই ইদানিং ছাদ বাগানের চল উঠেছে। সোস্যাল মিডিয়ার নানা ভিডিও দেখে নিজের বাড়ির বারান্দা বা ছাদে মরসুমি শাকসব্জির চাষ এখন অন্যতম শখে পরিনত হয়েছে। লঙ্কা গাছের চাষ বাড়িতে প্রায়ই করা হয়ে থাকে। কখনও কখনও এই গাছের কিছু পাতা হঠাৎ কুঁকড়ে যায় এবং ফলন ও কমে যায়। কেন এমন সমস্যার সৃষ্টি হয় জেনে নিন।
লঙ্কা গাছে  থ্রিপস পোকার আক্রমণ এই ধরণের লক্ষণের কারণ।

পাতার উপরের দিকে ছোটছোট থ্রিপস পোকার উপস্থিতি বোঝা যায় তবে খালি চোখে এদের দেখতে পাওয়া যায় না।

এই পোকা পাতার উপরের অংশ থেকে পাতার রস শোষণ করে। ফলে লঙ্কা গাছের পাতা শুকিয়ে যায় এবং পাতার মাঝখানে শিরার আশপাশ বাদামী রঙের হয়ে যায়। 
আক্রান্ত পাতা দেখতে বিকৃত হয়ে যায়। নৌকার খোলের মতো করে পাতা উপরের দিকে বেঁকে বা কুঁকড়ে যায়।

 আক্রান্ত গাছ এবং গাছের উপরের পাতা ও ডালপালা ছিঁড়ে ফেলতে হবে এবং পুড়িয়ে ফেলতে হবে।

পোকামাকড়ের আক্রান্ত গাছ এবং গাছের পাতায় হাত দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। অতি সামান্য পরিমান গুঁড়ো সাবান বা ডিটারজেণ্ট, ১ বা ২ লিটার জলে মিশিয়ে স্প্রে করলে উপকার পাওয়া যায়। হলুদ স্টিকি বা আঠালো ট্র্যাপ ব্যবহার করে পোকা দমন করা যেতে পারে।

 ১২ গ্রাম অর্ধেক ভাঙ্গা নিমবীজ বা নিমতেল ১ লিটার জলে ১ দিন ভিজিয়ে রাখুন। সেই জল ছেঁকে নিয়ে পাতার উপরের দিকে স্প্রে করতে হবে। রাসায়নিক কীটনাশক হিসাবে ইমিটাফ, এডমায়ার  প্রতি ১ লিটার জলে ০.৫ মিলি মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। আক্রান্ত গাছে কীটনাশকের ব্যবহারের পরিমাণ কিন্তু খুব সীমিত করতে হবে।

লঙ্কা গাছে পোকা লাগার অব্যর্থ দাওয়াই রসুন। পোকামাকড় এমনিতেই রসুনের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। তাই চট করে রসুন দিলে এর গন্ধে গাছের কাছে ঘেঁষে না পোকামাকড়ের দল। তাই পোকা লাগা এড়াতে গাছের মাটিতে কয়েক কোয়া রসুন রেখে দিন।

দু'চামচ শুকনো লঙ্কা, ৬-৭ ফোঁটা সাবান জল আর ৩ লিটার জল নিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। স্প্রে বোতলে ভরে গাছে স্প্রে করুন। শুকনো লঙ্কা ছাড়া গোলমরিচ ও আদাও মূল উপাদান হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এই সব উপাদানেই রয়েছে পোকা তাড়ানোর ক্ষমতা।