শাড়িপ্রেমীদের কাছে সিল্কের শাড়ির কদর বরাবরই বেশি। বিয়েবাড়ি থেকে পুজো-পার্বন কিংবা দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য সিল্কের শাড়ি অনেকেরই পছন্দের তালিকায় প্রথমে থাকে। নরম, উজ্জ্বল, সিল্কের শাড়ি হালকা সাজেও ক্লাসি লুক এনে দিতে পারে। সিল্ক শুধু একটি কাপড়ের ধরন নয়, ঐতিহ্যের অংশও বটে। কিন্তু আজকের বাজারে সিল্কের নামেও চলছে প্রতারণা। অনেক ব্যবসায়ী নকল বা কৃত্রিম সিল্ককে আসল বলে বিক্রি করছেন, যা দেখতে প্রায় একই রকম হলেও গুণমানে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। তবে কেনার আগে একটু সচেতন হলেই প্রতারণা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। সামান্য পর্যবেক্ষণে আসল আর নকলের তফাৎ শনাক্ত করা যায়। তিন সহজ উপায়ে কীভাবে খাঁটি সিল্ক চিনবেন, জেনে নিন-


১. টাচ টেস্ট: আসল সিল্ক স্পর্শ করলে নরম ও ত্বকে হালকা উষ্ণতা দেয়। তাই আসল রেশম কখনও ঠান্ডা মনে হয় না। বিপরীতে নকল সিল্ক ধরলে পলিয়েস্টার বা রায়ন ঠান্ডা, রুক্ষ এবং প্লাস্টিকের মতো অনুভব হতে পার। 


২. বার্ন টেস্ট: এটি খানিকটা ঝুঁকিপূর্ণ হলেও সবচেয়ে নির্ভুল পরীক্ষা। কাপড়ের এক কোণ থেকে ছোট্ট একটি সুতা কেটে আগুনের কাছে ধরুন। যদি কাপড় আসল সিল্ক হয়, তবে ধীরে ধীরে জ্বলবে এবং আগুন সরিয়ে নিলে নিজে থেকেই নিভে যাবে। পোড়ার গন্ধ হবে মানুষের চুল বা পালক পোড়ার মতো আর ছাই হবে নরম ও ভঙ্গুর। বিপরীতে নকল সিল্ক দ্রুত জ্বলবে, প্লাস্টিক পোড়ার গন্ধ হবে এবং শেষে শক্ত গুটি তৈরি করবে।


৩. শাইন টেস্ট: আলোয় কাপড়টি ঘুরিয়ে দেখুন। আসল রেশমে আলোর কোণ বদলালে রঙে সূক্ষ্ম পরিবর্তন দেখা যায়। এক কোণে সোনালি, অন্য কোণে রূপালি বা হালকা সবুজাভ আভা। নকল সিল্কে এই পরিবর্তন দেখা যায় না। বরং তার উজ্জ্বলতা একরঙা ও অতিরিক্ত চকচকে হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই তিনটি পরীক্ষাই ঘরে বসে সহজে করা যায় এবং এতে কোনও বিশেষ যন্ত্রের দরকার নেই। তবে বাজারে এখন এমন অনেক হাই-কোয়ালিটি মিশ্র সিল্ক পাওয়া যায়, যেগুলো এই পরীক্ষাকেও বিভ্রান্ত করতে পারে। তাই বড় অঙ্কের কেনাকাটা সময় ল্যাব-সার্টিফায়েড বা ব্র্যান্ডেড দোকান থেকে সিল্ক নেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ।