আজকাল ওয়েব ডেস্ক: রান্নায় সুগন্ধ আনতে ফোড়ন হিসেবে এর জুড়ি নেই।পানে এক টুকরো এলাচ রাখলে পানের স্বাদই আলাদা হয়ে যায়।মশলা হিসেবে এলাচের ব্যবহার যেমন অনেক, তেমনই এর স্বাস্থ্যকর গুণাবলীও প্রচুর।এলাচকে মশলার রানি বলা হয়।রান্নার স্বাদ ও গন্ধ বাড়ানো ছাড়াও স্বাস্থ্যের যত্নেও এগিয়ে অন্য মশলার থেকে।
আপনি কি জানেন, এক গ্লাস হালকা গরম জলে একটি এলাচকে আধঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন।অবশ্যই সুর্যাস্তের আগে সেই জল খেতে হবে। চুল পড়ে যাওয়াকে আটকায় ও খুব দ্রুত নতুন চুল গজাতে মোক্ষম দাওয়াই এই টোটকা। ঘন ঘন ঠান্ডা লেগে সর্দি কাশির ধাত হলেও এই পানীয়তেই উপশম হয়।মুখের দুর্গন্ধ সকলের জন্যই একটা বিব্রতকর সমস্যা।অনেকেই মুখের দুর্গন্ধজনিত সমস্যায় পড়ে থাকেন।ভাল ভাবে মুখ পরিস্কার করেও মুখে থেকে যায় দুর্গন্ধ।এই পানীয় নিমেষে দূর করে সেই দুর্গন্ধ।
এলাচ গ্যাস্ট্রিক সমস্যা প্রতিরোধ করে, অ্যাসিডিটি দূর করে।এটি ডাইজেস্টিভ সিস্টেমকে সক্রিয় রাখে এবং হজমে সাহায্য করে।পেটের যে কোনও সমস্যাতেই এলাচ অনবদ্য।এক কাপ গরম জলে একটি এলাচ থেঁতো করে পান করুন।হজমের সমস্যার সমাধান হবেই।
এলাচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। ত্বকের সমস্যায় এলাচ খুব উপকারি।কারণ ভিটামিন সি রক্তসঞ্চালন প্রক্রিয়াকে উন্নত করে।কারো ত্বকে কালো ছোপ ছোপ দাগ থাকলে তা দূর করতে এলাচ বেটে দাগে নিয়মিত লাগালে দাগ চলে যাবে।
ভিটামিন এবং খনিজ ছাড়াও, পলিফেনল এবং ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ এলাচ হজম সিস্টেমকে সুস্থ রাখতে কার্যকর।এই উপাদানগুলো পাকস্থলীর উপরের অংশে অ্যাসিডিটিকে উন্নত করে করে হজমের গোলমালকে আটকায়।এলাচ বমি বমি ভাব এবং অস্থিরতা থেকে মুক্তি দেয়।
ফাইটোকেমিক্যালস সমৃদ্ধ হওয়ায় দাঁত এবং মাড়ির সংক্রমণ, গলার সমস্যা ইত্যাদিতে উপকারী।এলাচ একটি শক্তিশালী অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল যা নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে।
