আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ ছোট্ট এই মশলায় রয়েছে অনেক শারীরিক জটিলতার অব্যর্থ ওষুধ। সুগন্ধি মশলা হিসাবে এলাচের রান্নাঘর যথেষ্ট মর্যাদা রয়েছে। এটি বিভিন্ন রান্নায় যোগ করে অনন্য গন্ধ ও স্বাদ। এটি গরম মশলার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে আমাদের অনেকেই এই মশলার স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে জানি না । স্বাস্থ্যের জন্য এলাচের উপকারিতা শেষ করা যাবে না। গরম মশলা বলতে আমরা যে মশলাগুলোকে বুঝি, তার মধ্যে অন্যতম এলাচ।
এলাচ মুখের ভেতরে পিএইচ লেভেলকে বাড়িয়ে মুখগহ্বরের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখে। মুখের ভিতরের দূর্গন্ধ ও ক্যাভিটি সৃষ্টি করা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণকে প্রতিরোধ করে। মুখসুদ্ধি হিসেবে শ্রেষ্ঠ এই মশলা দাঁতকে সাদা ও মজবুত করে এবং নিঃশ্বাসকে রাখে তরতাজা। স্যালিভা তৈরিতে সাহায্য করে ও মাড়িকেও সুস্থ রাখে।
এলাচগুঁড়ো ফল বা কোন পানীয়তে দিয়ে খেলে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমে যায়।
হিস্টোপ্লাসমোসিস রোগ অর্থাৎ সবসময় খেতে না পারার এক ধরণের শারীরিক অবস্থাকে কমাতে সাহায্য করে এলাচ। আবার সাধারণ খিদে কম হওয়াকে নিয়ন্ত্রণে এনে ওজনকে বশে রাখে এলাচ। গ্যাস্ট্রিক সমস্যা প্রতিরোধ ও অ্যাসিডিটি দূর করতে চিবোতে পারেন একটি এলাচ। এটি ডাইজেস্টিভ সিস্টেমকে সক্রিয় রাখে এবং হজমে সাহায্য করে। পেটের যে কোনও সমস্যা যেমন বদহজম নিরাময়ে সহায়তা করে।
ফ্রি রাডিক্যালস ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের ভারসাম্যহীনতা থেকে তৈরি অক্সিডেটিভ স্ট্রেসকে কোনভাবেই বাড়তে দেয় না। যে কোনও প্রদাহ ও কোষকে সুরক্ষিত রাখতে এলাচের গুনাগুন প্রচুর।
অ্যান্টিডিপ্রেশন হিসেবে এলাচের গুঁড়োর অনেক অবদান। এক গ্লাস উষ্ণ গরম জলে এক চামচ এলাচগুঁড়ো মিশিয়ে খেলে ডিপ্রেশন থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। গরম জলেতে এলাচ গুঁড়ো ও মধু দিয়ে ফুটিয়ে তৈরি করে নিন এলাচ চা। মাথা ব্যথা থাকলে এক কাপ গরম এলাচ চা খেয়ে দেখুন। মাথা ব্যাথা নিমেষেই দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও এলাচ চা মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে।
