আজকাল ওয়েবডেস্ক: সকালে জলখাবারে আলু ফুলকপি চচ্চড়ি আর লুচি, দুপুরে মাছের ঝোলে বড় সাইজের ফুলকপির টুকরো সহযোগে খাওয়া সেরেই ডিনারে ফুলকপির রোস্টের আবদার। শীত মানেই তো ভোজনরসিকদের এই একটি অন্যতম সবজি যা সারাদিনের প্রতিটি পদেই অপরিহার্য। তবে কেজি কেজি ফুলকপি তো খাচ্ছেন, এই সবজি কাদের খাওয়া একেবারেই অনুচিত, জানেন কি? 

যে মায়েদের শিশুরা ব্রেস্ট ফিড করে তারা এই সবজি এড়িয়ে চলুন। এটি খেলে শিশুর পেটে ব্যথা হতে পারে। এমনকি ফুলকপিতে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া থেকে ত্বকে চুলকানি, শ্বাসকষ্ট এবং ফুলে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ফুলকপিতে পটাশিয়াম ও ভিটামিন কে-এর পরিমাণ বেশি। যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। তাই যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান, তাদের জন্যও ভিটামিন কে-সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলা ভাল। তার মধ্যে ফুলকপি অন্যতম।

থাইরয়েডের সমস্যায় ভোগা মানুষের জন্য এই সবজি খুবই ক্ষতিকর। এতে T-3 এবং T-4 হরমোন বৃদ্ধির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ফলস্বরূপ তাদের থাইরয়েড বাড়াতে পারে। তাছাড়া ফুলকপিতে ভিটামিন এ, বি এবং সি পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে প্রতিদিন কপি খেলে পেট ফাঁপা, গ্যাস এবং অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা হতে পারে। একইভাবে, পিত্তথলি বা কিডনিতে পাথর থাকলে ফুলকপি খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। ফুলকপিতে ক্যালসিয়ামও বেশি থাকে, যা পাথরের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। এটি সীমিত পরিমাণে খাওয়াই ভাল।

সবজিটি অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর। এই কারণে, এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী বলে মনে করা হয়। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে এই সবজি খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। এই সবজিটি হজম করা খুব কঠিন, বিশেষ করে যখন এটি কাঁচা খাওয়া হয়। এর ফলে ফুলে যাওয়া বা গ্যাস সংক্রান্ত সমস্যা বাড়তে পারে। তাই পরিমাণে মেপে প্রত্যেকের ফুলকপি খাওয়া উচিত।