আজকাল ওয়েবডেস্ক: ডিম আমাদের শরীরের জন্য ভীষন গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। শুধু লাঞ্চ বা ডিনারেই নয়, ব্রেকফাস্ট, টিফিনের সময় কিংবা যখন তখন ছোট খিদের সময় পেট ভরাতে ডিমই কাজে আসে।খিদের সময় দুটো-তিনটে ডিম না খেলে চলে না! কিন্তু এই অভ্যাস আপনার জন্য কী মারাত্মক বিপদ অপেক্ষা করছে জানেন?উপকারী হলেও অতিরিক্ত খেলে শরীরে তার খারাপ প্রভাব ফেলে।
বেশি ডিম খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যায়। নিয়মিত ডায়েটে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিত্সকরা। কিন্তু সেই ডায়েটে যদি অতিরিক্ত ডিম খাওয়া শুরু হয় তাহলে তার পুষ্টিকর গুনাগুন কমতে শুরু করে। প্রতিদিনের ডায়েটে স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে একটি গোটা ডিমই যথেষ্ট। তবে সংখ্যা অনেক খেলে তা খারাপ জিনিসে পরিণত হয়, যার মধ্যে ডিম অন্যতম।
নিয়মিত ডায়েটে কটা করে ডিম খাবেন, কতগুলি খেলে ডিম শরীরের জন্য কতটা বিপজ্জনক হতে পারে তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে।
শরীরে বাজে কোলেস্টেরল বাড়তে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই হৃদরোগের সমস্যাগুলিও পাশাপাশি দেখা দিতে পারে। যদি ডিম না খেয়ে একেবারেই থাকতে না পারেন তাহলে ডিমের ভিতর কুসুম বা হলুদ অংশটি বাদ দিয়ে খান। কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি কমাতে রোগীদের ডিমের কুসুম না খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিত্সকরা।
হজমশক্তি ব্যাহত করতেও ডিম অনেকখানি দায়ী। গ্যাস, পেটে ব্যথা, পেট ফোলার মতো সমস্যা তৈরি হয়। এছাড়া প্রতিদিন ডায়েটে ডিমের পরিমাণ বেশি থাকলে যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তাদের ভুগতে হতে পারে।
ডিমের মধ্যে থাকা ফ্যাট রক্তে সুগারের মাত্রার উপর প্রভাব ফেলে। যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাদের ইনসুলিনের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে সক্ষম। অগ্ন্যাশয়ে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তোলে এই ফ্যাট। কার্ডিওভাস্কুলার বা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে ডিম না খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিত্সকরা।
প্রয়োজনের বেশি ডিম খেলে পেট ফোলা, গ্যাস ও পাচনতন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলে। খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়ার অর্থ হৃদরোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের রোগীরা ডিম খাওয়া কমিয়ে দিন।
