বয়স ষাট পেরিয়েছে অনেকদিন। বলিরেখা দেখা দিয়েছে চামড়ায়, তবে পাক ধরেনি চুলে। বলিউডের ‘এভারগ্রিন বিউটি’ ডিম্পল কাপাডিয়া শুধু অভিনয়ে নয়, চুলের জেল্লাতেও অনন্যা! আজও তাঁর চুল যেন ৩০-এর যুবতীর মতো ঘন, নরম আর প্রাণবন্ত। ৬৮ বছর বয়সেও সাদা চুল ঢাকতে রং করেন না ডিম্পল কাপাডিয়া। হেঁশেলেই লুকিয়ে তাঁর ঘন, কালো চুলের রহস্য। শুধু তা-ই নয়, ডিম্পলের হেয়ার কেয়ার রুটিন তাঁর নাতনিরাও মেনে চলেন। চুলের স্বাস্থ্যের জন্য কীভাবে যত্ন নেন , সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজেই জানিয়েছে ডিম্পল কাপাডিয়া।
তেলের জাদুঃ ছোটবেলা থেকে নিয়মিত মাথায় তেল মাখেন ডিম্পল। বাদাম ও চন্দন তেলের সঙ্গে মেশান জেরানিয়াম, রোজমেরি আর ল্যাভেন্ডার। ডিম্পলের মতে, তেল ব্যবহার তাঁর চুলের স্বাস্থ্য রক্ষার মূল চাবিকাঠি। তাঁর মতে, এটি চুলের বৃদ্ধি ও পুষ্টি বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ঘরোয়া হেয়ার মাস্কঃ সপ্তাহে একবার ডিম্পল কাপাডিয়া একটি ঘরোয়া মাস্ক ব্যবহার করেন। যা ৫টি ডিমের সাদা অংশ, ১টি গোটা ডিম ও ১টি কলা দিয়ে তৈরি করেন অভিনেত্রী। এই প্যাক ১০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললেই চুল হবে ঝলমলে।
আরও পড়ুনঃ ৪০ ছুঁয়েও ত্বক থাকবে টানটান, যৌবন ধরে রাখতে আজই ছাড়ুন এই পাঁচ অভ্যাস
বিয়ার কন্ডিশনারঃ হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন! রুক্ষ চুল সামলাতে ডিম্পলের গোপন অস্ত্র হল বিয়ার। চুলের জৌলুস বজায় রাখতে তিনি বিয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করেন। যা চুলকে মসৃণ ও ঝলমলে করে তোলে।

সাহসী রং ব্যবহারঃ শুধু চুলের যত্নই নয়, চুলের রঙ নিয়েও বেশ সাহসী পদক্ষেপ নিতে ভালবাসেন ডিম্পল। ১৮ বছর বয়সে তিনি চুলে লাল রং করেছিলেন। ২০১৬ সালে করেছিলেন নীল স্ট্রিক। তবে এখন আর তিনি কোনও কালার তেমন ব্যবহার করেন না। নিজের ধূসর চুল আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে স্টাইল করেন। তাঁর মতে, গ্রে হেয়ারও একটি ফ্যাশন স্টেটমেন্ট।
স্বাস্থ্যকর ডায়েটঃ চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় খাদ্যাভাসের গুরুত্বও উল্লেখ করেছেন ডিম্পল কাপাডিয়া। মাছ, বাদাম, শস্যদানা-এই ধরনের প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার চুলকে ভিতর থেকে পুষ্টি জোগায়।
আরও পড়ুনঃ ৩ না ৪ নাকি পাঁচ, দিনে কতবার খেলে আজীবন থাকবেন সুস্থ? বিশেষজ্ঞদের উত্তর জানলে চমকে যাবেন
পেঁয়াজের রসঃ চুলের যত্নে পেঁয়াজের রসও ব্যবহার করেন নায়িকা। তবে তিনি চুলে সরাসরি পেঁয়াজের রস মাখেন না। পেঁয়াজের রস থেকে যে রস তৈরি হয়, সেটাই ব্যবহার করেন অভিনেত্রী। এতে বেশি উপকার পাওয়া যায় বলে মনে করেন তিনি।
বয়স যতই হোক, নিয়মিত সঠিক পরিচর্যা, প্রাকৃতিক উপাদান ও সঠিক খাদ্যাভাসে যে চুলকে সুস্থ ও সুন্দর রাখা সম্ভব তাই প্রমাণ করেছেন ডিম্পল কাপাড়িয়া।
