আজকাল ওয়েবডেস্ক: জিম নিয়ে নতুন প্রজন্মের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। একদিকে থেকে দেখলে এই উৎসাহ খারাপ কিছু নয়, বরং ভালই। নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীর ও মন দুইই প্রফুল্ল থাকে। কিন্তু জিমে গেলেই তো হল না, আর পাঁচটা কাজের মতোই জিমে শরীরচর্চা করারও কিছু নিয়ম আছে। বিশেষ করে যাঁরা প্রথম বার জিমে যাচ্ছেন তাঁরা অনেকসময় শুরুতেই কিছু ভুল করে বসেন। এই ভুলগুলো সম্পর্কে সাবধান থাকা উচিত।
১. ওয়ার্ম-আপ এবং কুল-ডাউন বাদ দেওয়া: জিমে ঢুকেই সরাসরি ভারী ব্যায়াম শুরু করা উচিত না। অনেকেই প্রথম প্রথম উত্তেজনার বশে তড়িঘড়ি কঠোর শরীরচর্চা করতে যান। কিন্তু ওয়ার্ম-আপের মাধ্যমে আগে শরীরকে ধীরে ধীরে প্রস্তুত করা প্রয়োজন, যা পেশী এবং জয়েন্টকে আঘাতের হাত থেকে রক্ষা করে। তেমনই, ব্যায়াম শেষে কুল-ডাউন করাও জরুরি। ব্যয়ামের শেষে ঠিক মতো বিশ্রাম নিলে হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। কুল ডাউন পেশীর ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে।
 
 আরও পড়ুন: শুক্রাণু দান করে কত টাকা আয় হয়? ভারতে বীর্য দাতা হতে গেলে কোন কোন নিয়ম জানতে হবে?
২. অতিরিক্ত ওজন তোলা: প্রথম দিন থেকেই নিজের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে বেশি ওজন তোলার চেষ্টা করা উচিত না। এতে পেশীতে টান লাগতে পারে বা অন্যত্র গুরুতর আঘাতও লাগতে পারে। আচমকা বেশি ওজন তুললে হাত পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যেতে পারে। দেখা দিতে পারে স্থায়ী সমস্যা। তাই ধীরে ধীরে হালকা ওজন দিয়ে শুরু করুন এবং প্রশিক্ষকের পরামর্শ অনুযায়ী ওজন বাড়ান।
 
 আরও পড়ুন: ১২ জন স্ত্রী! বাচ্চা করাই নেশা! ১০২ সন্তানের বাবা হয়ে অবশেষে থামলেন ৬৮-র মুসা, কেন ক্ষান্ত দিলেন? কী বললেন এ যুগের ধৃতরাষ্ট্র?
৩. সঠিক পদ্ধতি উপেক্ষা করা: ভুল ভঙ্গিতে ব্যায়াম করলে তা লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি করতে পারে। অনেকেই জিম মেম্বারশিপ নেওয়ার সময় ট্রেনার নেন না। ভাবেন নিজেই সব কিছু করে নিতে পারবেন। কিন্তু মাথায় রাখবেন প্রতিটি ব্যায়ামের সঠিক পদ্ধতি আছে। সেই পদ্ধতি সম্পর্কে নিশ্চিত হন। প্রশিক্ষকের সাহায্য নিন। ভুল ভাবে ব্যায়াম করলে পেশীর সঠিক বিকাশ তো হবেই না উল্টে আঘাতের ঝুঁকি বাড়বে।
৪. পর্যাপ্ত জল পান না করা এবং সঠিক খাবার না খাওয়া: ব্যায়ামের সময় শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে জল বেরিয়ে যায়, তাই ডিহাইড্রেশন বা জলশূন্যতা এড়াতে পর্যাপ্ত জল পান করা জরুরি। এছাড়াও, জিমে যাওয়ার আগে এবং পরে সঠিক খাবার খাওয়া প্রয়োজন। শুধু শরীরচর্চায় পেশি গঠিত হয় না। সঠিক ডায়েট শরীরকে শক্তি যোগায় এবং পেশী গঠনে সাহায্য করে।
৫. অন্যের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করা: প্রথম থেকেই নিজেকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করলে হতাশ লাগতে পারে। অন্য অনেকে হয়তো দীর্ঘদিন ধরে অনুশীলন করে পেশিবহুল শরীর গড়ে তুলেছেন। আপনি কয়েকদিনেই সেটা করতে পারবেন না। মনে রাখবেন, সবাই নিজের মতো করে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে উন্নতি করে। নিজের শরীরের প্রতি মনোযোগ দিন এবং নিজের অগ্রগতির উপর ফোকাস রাখুন। ধৈর্য ধরুন এবং নিয়মিত অনুশীলন চালিয়ে যান।
