আজকাল ওয়েব ডেস্ক: শনিবার গণেশ চতুর্থী। শুক্রবার দুপুর ৩টে শুরু হয়ে গিয়েছে গণেশ পুজোর তিথি। শেষ হবে শনিবার বিকেল ৩টে ৩১ মিনিটে। সারা দেশের মতো এই রাজ্যেও ঘরে ঘরে গণেশের আরাধনা করা হয়। অন্যান্য পুজোর মতো এই পুজোর ভোগেও বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি দেওয়া হয়। তবে গণেশের ভোগ মানেই কিন্তু শুধু লাড্ডু ও মোদক নয়, সিদ্ধিদাতার পছন্দের খাবারে রয়েছে আরও রকমারি পদ। বাড়িতে সহজে কীভাবে গণেশের ভোগের মিষ্টি বানাবেন? জেনে নিন পদ্ধতি। 

শেরা- সুজির হালওয়ার অনুরূপ শেরা। এটি একটি মিষ্টি যাতে সুজি, ঘি, শুকনো ফল ও আরও অনেক কিছু ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। কেউ কেউ অন্য স্বাদ আনতে আনারস, কলাও দিয়ে তৈরি করেন। 

বাসুন্দি- একটি পাত্রে দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিন। দুধের পরিমাণ ফুটে অর্ধেক হয়ে এলে কেশর মেশানো দুধ দিয়ে আরও মিনিট পাঁচেক ধরে দুধ গাঢ় করে নিন। এ বার দুধের মধ্যে পরিমাণ মতো চিনি মিশিয়ে নাড়াচাড়া করুন। দুধ ঘন হয়ে এলে কনডেন্সড মিল্ক, এলাচ গুঁড়ো ও ঘিয়ে ভাজা কাজুবাদাম, পেস্তা মিশিয়ে দিন।

পুরাণ পোলি- এটি মহারাষ্ট্রের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির পদ। সুইট ব্রেড, মিষ্টি ডালের পুর দিয়ে পূর্ণ পুরাণ পোলি একটি অতি সুস্বাদু মহারাষ্ট্রীয়ান মিষ্টি। এই মিষ্টি উত্স বকে একটি অন্য মাত্রায় পৌঁছে দেয়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

লাডডু- বোঁদে, সুজি, বেসন, শুকনো ফল দিয়ে তৈরি লাড্ডু এই উত্সাবের একটি অন্যতম উপাদান। গণেশ পুজোয় চিরাচরিত লাড্ডুর পাশাপাশি আরও একটি লাড্ডু তৈরি করা হয়, তা হলে মুড়ি দিয়ে তৈরি লাড্ডু, মুড়মুড়া লাড্ডু। মুচমুচে ও মিষ্টি এই লাড্ডু গণেশ পুজোয় ভোগ হিসেবে রাখা হয়।

মোদক– লক্ষ্মীপুজোয় নারকেল নাড়ু, জন্মাষ্টমীতে তালের বড়া ছাড়া অসম্পূর্ণ। তেমনই গণেশ পুজোতে মোদক হওয়া চাই-ই চাই। চিরাচরিত মোদকের সঙ্গে চকোলেট মোদকও সহজে বানিয়ে নিতে পারেন। যার জন্য একটি প্যানে মাখন গরম করে নিয়ে ডার্ক চকোলেট মিশিয়ে ভাল করে গলিয়ে নিন। তারপর কনডেন্সড মিল্ক, ভেনিলা এসেন্স মিশিয়ে দিন। মিনিট খানেক পরে খোয়াক্ষীর, আখরোটের গুঁড়ো, নারকেলের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। মিনিট পাঁচেক পাক দেওয়ার পর মিশ্রণটি ঘন হয়ে এলে থালায় ঢেলে খানিকটা ঠান্ডা করে নিন। এ বার ছোট গোলা বানিয়ে মোদকের ছাঁচে ফেলে মোদক বানিয়ে নিন। উপর থেকে নারকেলের গুঁড়ো ছড়িয়ে দিলেই তৈরি।