আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ বাড়িতে পুজোপাঠ হোক কিংবা বাড়িতে পোকামাকড়ের উপদ্রব, অনেকেই ভরসা রাখেন কর্পূরে। ত্বকের   অসুখে যেমন একজিমা, চুলকানি প্রভৃতি সমস্যায় কর্পূর ভীষন কার্যকরী।আবার ঠান্ডা লাগা ও গলার সংক্রমণে, সর্দি কাশির উপশমে কর্পূর ব্যবহার করার চল বহু প্রাচীন। এমনকি বুকে-পিঠে কর্পূরের তেল মালিশ করলে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা কমে।


কিন্তু  রোজের ঘরোয়া ব্যবহার ছাড়াও কর্পূরকে বাড়ির সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যেও কাজে লাগতে পারে। জানেন কী? সংসারে অস্বচ্ছলতা, পারিবারিক কলহ ও বিবাদ সঙ্গ না ছাড়লে মন মেজাজ বিগড়ে থাকে। উন্নতির দোড়গোড়ায় পৌছেও অসফল হতে হয়।
এইসব সমস্যার সমাধান করতে পারে কর্পূর।বাস্তু শাস্ত্র মতে তিনটি ঘরোয়া উপাদান কর্পূরের সঙ্গে  পোড়ালে ঘরের সুখ -শান্তি, স্বচ্ছলতা, পজিটিভ শক্তি বৃদ্ধি পাবে অচিরেই।

 

১: দুঃশ্চিন্তা যাচ্ছে না? আপনার বাড়ির চারপাশে কী গুপ্ত শত্রু বৃদ্ধি পাচ্ছে?সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার ও শনিবার কর্পূর দানিতে কর্পূরের সঙ্গে দুটি গোটা লবঙ্গ পুড়িয়ে দিন। ঘরের সমস্ত নেগেটিভ শক্তি বেড়িয়ে গিয়ে পজিটিভ শক্তি আপনার ঘরে অবস্থান করবে।

২: কর্মস্থানে বা বাড়িতে কী বাস্তু দোষ আছে?প্রতি রবিবার অথবা সোমবার ঘরে কর্পূরের সঙ্গে দুটি দাড়চিনির কাঠি একসঙ্গে জ্বালিয়ে দিন। আপনার ঘরের সমস্ত বাস্তু দোষ কেটে যাবে।সুখ সমৃদ্ধিতে ভরে যাবে আপনার সংসার।

৩: সময় ভাল যাচ্ছে না? পারিবারিক কলহ বিবাদ সবসময় চললে সপ্তাহের যে কোন দিন কয়েকটি গোটা তেজপাতা কর্পূর দানিতে ফেলে কর্পূরের সঙ্গে পুড়িয়ে দিন।এতে ঘরের নেগেটিভ শক্তি বাইরে বেড়িয়ে যায়। আপনার বাড়ির পারিবারিক কলহ, অশান্তি কেটে গিয়ে একে অপরের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ঘরোয়া টোটকা হিসেবে কর্পূরের গুনাগুন প্রচুর। পুজোর স্থানে কর্পূর জ্বালিয়ে রাখলে তার সুগন্ধে চারিদিকে পজিটিভ শক্তি বিরাজ করে।তাতে মন ও শরীর উভয়ই থাকবে চনমনে।