আজকাল ওয়েব ডেস্ক: পেটের সমস্যা হিসেবে আমরা সাধারণত গ্যাস অম্বলের সমস্যাকেই ধরি। তবে কিছুক্ষেত্রে সমস্যা তার থেকে বহুগুণ এগিয়ে যায়। এমনই একটি সমস্যা হল পেটের আলসার। হজমের সময় ব্যাকটেরিয়ার ফলে কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, স্টার্চ ইত্যাদি থেকে প্রচুর গ্যাস তৈরি হয়। ফলে সুস্থ খাদ্যাভ্যাস ছাড়া গ্যাস ও পেট ফাঁপা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। তবে উপায় আছে।
এই আলসারকে গ্যাসট্রিক আলসার বলা হয়। এক্ষেত্রে খাদ্যনালী, পাকস্থলী বা ক্ষুদ্রান্ত্রের দেওয়ালে ক্ষত তৈরি হয়। পেনকিলার বেশি খাওয়ার কারণে এই ক্ষত তৈরি হয়। এই রোগে খাওয়ার পরপরই পেট জ্বালা করার অনুভূতি হয়। এক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা হল পেট জ্বালা করা এবং ব্যথা। এই ব্যথা কয়েক মিনিট থেকে শুরু করে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। অবশ্য কিছু ক্ষেত্রে এই ব্যথা এতটাই কম থাকে যে বুঝতে পারা যায় না। আবার অপরদিকে এই সমস্যার কারণে মানুষ রাতেরবেলা ঘুমাতেও পারেন না, এমন উদাহরণও রয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যথা হলে মানুষ অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধ খেয়ে নেন। এর ফলে সমস্যা সাময়িকভাবে কমে যায়। তবে ফের একটা সময়ে প্রকট হয়। এছাড়া আলসারের চিকিৎসা ঠিকমতো না হলে দেখা দিতে পারে বড় সমস্যা। তাই প্রতিটি মানুষকেই থাকতে হবে সতর্ক।
খিদে চলে যাওয়া। শরীর খারাপ থাকার অনুভূতি।বুক জ্বালা করতে পারে।পেটে জ্বালার অনুভূতি ও হজমের সমস্যাও হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি নামক ব্যাকটেরিয়া পেটের সংক্রমণের জন্য দায়ী। গ্যাসট্রাইটিসের সমস্যা থাকলে সেখান থেকেও হতে পারে পেটে ব্যথা।
তেল মশলাদার খাবার, ক্যাফেন এসব যতটা সম্ভব কম খান। ধূমপান থেকে দূরে থাকুন। টকজাতীয় খাবার একেবারেই কম খান। মানসিক চাপ কম রাখতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। খুব বেশি করে জল খান। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে অ্যান্টাসিডও খেতে পারেন।
