আজকাল তাড়াহুড়ো করে খাওয়া-দাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে অনেকেই পেটে নানা সমস্যা যেমন গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য বা অ্যাসিডিটির শিকার হচ্ছেন। তার উপর পুজোয় চলে দেদার পেটপুজো। একটানা ফুচকা-বিরিয়ানি খেয়েও দেখা যায় এই সমস্যা। সাধারণত অ্যাসিডিটি হল পেটে অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি হওয়া, যা পেটে জ্বালা সৃষ্টি করে। বেশি মশলাযুক্ত বা টক খাবার খাওয়ার ফলে পেট ফুলে যায় এবং এই অ্যাসিড ধীরে ধীরে গলা পর্যন্ত আসে, যার ফলে টক বা চোয়া ঢেকুর হয়।
আপনারও যদি এই ধরনের সমস্যা থাকে, তাহলে কিছু ঘরোয়া উপায় খুব কার্যকর হতে পারে।
গরম জল পান করুন: সকাল শুরু করুন গরম জল দিয়ে। চাইলে এতে অল্প করা গোল মরিচ এবং অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এতে গ্যাস কমে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য হয়।
মৌরি ভেজানো জল পান করুন: খাবারের পর মৌরি ভেজানো জল পান করলে পেটের অ্যাসিডিটি কমে। চাইলে সরাসরি মৌরি চিবিয়ে বা চা বানিয়ে খাওয়া যায়। এটি পেট ঠাণ্ডা রাখে এবং হজম শক্তি বাড়ায়।
লেবু জল পান করুন: লেবুর সঙ্গে সামান্য চিনি মিশিয়ে পান করলে অ্যাসিডিটি থেকে আরাম পাওয়া যায়। দুপুরে খাওয়ার আগে বা পরে পান করলে আরও ভাল। লেবুর জল পেটকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে।
জিরের জল পান করুন: জিরেকে থাকা প্রাকৃতিক তেল হজমে সাহায্য করে। এক চামচ জিরে ২ কাপ জলে ১০–১৫ মিনিট ফুটিয়ে সেই জল ছেঁকে খেতে পারেন। দিনে খাবারের পর তিনবার খেলে কার্যকারিতা বেশি।
জোয়ান ভেজানো জল পান করুন: জোয়ান হজম শক্তি বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও উন্নত করে। এক গ্লাস জলে জোয়ান ফুটিয়ে ঠান্ডা করে পান করুন। নিয়মিত খেলে পেটে আরাম পাওয়া যায়।
দই খান: দইতে থাকে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়া। এটি হজম ভালো রাখে এবং ত্বক এবং চুলের জন্যও উপকারী।
কলা খান: কলা পেটের জন্য খুব ভাল। এটি খেলে জ্বালা, গ্যাস এবং অ্যাসিডিটি কমে। চাইলে সামান্য চিনি দিয়ে খেতে পারেন। কলা মুখ এবং পেটের আলসারের জন্যও উপকারী।
নিয়মিত সঠিক অভ্যাস এবং সহজ ঘরোয়া উপায় মেনে চললেই গ্যাস এবং অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। পুজোয় তাই কয়েকটা দিন নিয়ম ছাড়া খাওয়াদাওয়া হলেও এই টোটকাগুলোই আপনাকে রাখবে সুস্থ।
