আজকাল ওয়েব ডেস্ক: ঘুমের আমেজ কাটাতে হোক কিংবা সারাদিনের কাজের ক্লান্তি মেটাতে, কফিতে চুমুক না দিয়ে চলে না! সকাল থেকে রাত, আনন্দ থেকে ক্লান্তি, প্রেম থেকে বিরহ- সবেতেই কফি, তোমাকে চাই! হ্যাঁ, গরম বা কোল্ড কিংবা ব্ল্যাক কফি শরীরের জন্য যেমন উপকারী যেমন, তেমনই মনের জন্যও বেশ ভাল।
কফিতে থাকা ক্যাফিন, শক্তি বা এনার্জি বর্ধক। ওজন কমাতে হলে দুধ-চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফি খেতেই বেশি পছন্দ করেন অনেকে। ছিপছিপে চেহারা পেতে ক্রমশ ব্ল্যাক কফি প্রেমীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ব্ল্যাক কফি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বটে, তবে অত্যাধিক সেবন কিন্তু চোখের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এবিষয়ে বিশিষ্ট চিকিৎসক অনিন্দ্য কিশোর মজুমদারের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
কফিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে। আর এই ক্যাফেইন স্নায়ুতন্ত্রের উদ্দীপক। পরিমিত কফি সেবন সরাসরি দৃষ্টিশক্তি বা চোখের ক্ষতি করে না। তবে অত্যাধিক মাত্রায় কফি খেলে তা চোখের স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। অতিরিক্ত কফি পান করলে গ্লুকোমা হতে পারে। এটি একটি সাধারণ চোখের রোগ, তবে যদি দ্রুত এবং সঠিকভাবে চিকিৎসা না করলে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
দিনে এক বা দুই বারের বেশি কফি খাওয়া উচিত নয়। কেউ যদি নিয়মিত প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি কফি খান, তাহলে ছানি পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। ঘরে তৈরি করা ৮ আউন্সের এক কাপ কফিতে সাধারণত ১০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে। দৈনিক প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষের জন্য মোটামুটি ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন খাওয়া নিরাপদ।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অত্যাধিক পরিমাণে কফি খেলে তা গ্লুকোমা রোগী এবং সাধারণ মানুষের চোখেও ইন্ট্রাওকুলার প্রেসার বাড়িয়ে দেয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বাস করা হয় যে, ক্যাফেইন ইন্ট্রাওকুলার প্রেসার বাড়াতে পারে। আসলে অত্যাধিক পরিমাণ ক্যাফেইন সেবনের ফলে জেনেটিক কারণে বেশি ইনট্রাকুলার প্রেসার হওয়ার চেয়ে গ্লুকোমা হওয়ার ঝুঁকি তিন গুণ বেড়ে যায়। এমনকী পরিবারের গ্লুকোমা হওয়ার ইতিহাস থাকলেও ক্যাফেইন থেকে গ্লুকোমা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
