আজকাল ওয়েব ডেস্ক: রাখি উৎসবের মতোই ভাইফোঁটাও ভাই বোনদের সম্পর্ক দৃঢ় করার অন্যতম একটি উৎসব। ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনার উদ্দেশ্যে বোনেরা এই রীতি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেন। ভাইফোঁটার দিন বোনেরা তাদের ভাই -দাদাদের কপালে চন্দন-কাজল- দইয়ের ফোঁটা পরিয়ে মন্ত্রোচ্চারণ করে তাদের মঙ্গল কামনা করেন। এইদিন ভাইদের মঙ্গল কামনায় বোনরা সারাদিন উপোস করে ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দেয়।কথিত আছে এই ভাইফোঁটার প্রথা শুরু হয়েছে মৃত্যুর দেবতা যম ও তাঁর বোন যমুনার সম্পর্কের হাত ধরে। এই তিথিতে যমরাজ তাঁর বোন যমুনার থেকে ফোঁটা নিয়েছিলেন। এই উৎসবকে তাই অনেকে 'যমদ্বিতীয়া'ও বলে থাকেন ।

 

ভাইদের কপালে সাধারণত চন্দন, কাজল এবং দই দিয়েও ফোঁটা দেওয়া হয়।কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষে দ্বিতীয় তিথিতে বাঙালির ঘরে ঘরে ভাইফোঁটা অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্র উচ্চারণ করে ভাইদের মঙ্গল কামনা করে কপালে ফোঁটা এঁকে দেন বোনেরা। 

কিন্তু কেন এই নিয়ম?জানেন কী?এই বছর ভাতৃদ্বিতীয়া অনুষ্ঠিত হবে ৩ নভেম্বর অর্থাৎ ১৭ কার্তিক। দ্বিতীয়া শুরু হবে ২ নভেম্বর অর্থাৎ ১৬ কার্তিক ৬টা ৫৩ মিনিট থেকে, দ্বিতীয়া শেষ হবে ৩ নভেম্বর অর্থাৎ ১৭ কার্তিক সকাল ৮টা ১৫ পর্যন্ত।

ভাইফোঁটায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চন্দনের ফোঁটাই দেওয়া হয় ভাইদের কপালে। চন্দনে রয়েছে একাধিক গুন। চন্দন যেমন মাথা ঠাণ্ডা রাখে তেমন মন শান্ত করে। চন্দনের এই একাধিক গুনের কারণে শুধুমাত্র ভাইফোঁটায় নয়, বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও চন্দনের টিপ পরতে দেখা যায়।চন্দন ছাড়াও দইয়ের ফোঁটা দেওয়ারও চল আছে।দইকে যে কোনোও কাজে শুভ বলে বিশ্বাস করা হয়।

কাজলের ফোঁটা দেওয়ারও রীতি রয়েছে। কাজল মূলত নজর কাটানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। ছোট শিশু থেকে বড়, সকলকেই কুনজর থেকে রক্ষা করার জন্যই কাজলের ফোটা দেওয়া হয়। তাই ভাইদের কুনজর থেকে রক্ষা করতে কাজলের ফোঁটা দেওয়াই রীতি।