আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ মুড়ি থেকে ভাত, সবের সঙ্গেই একটা কাঁচা পেঁয়াজ মুখে তোলেন প্রায় প্রত্যেকেই। স্বাদের জন্য খাবারটি খেলেও, শুধু আমিষ রান্নার উপকরণ হিসেবে নয়, পেঁয়াজ খেলে বহু অসুখ থেকে দূরে থাকা যায়।
দেশের একটি অংশের মানুষ একে আমিষ বলে মানলেও, অপর একটি অংশ কিন্তু এই খাবারকে নিরামিষই মনে করে। পেঁয়াজের গুণ প্রচুর।
পুষ্টির ভাণ্ডার রয়েছে পেঁয়াজে। এতে আছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ফোলেট, বি৬-এর মতো জরুরি ভিটামিন। এছাড়া এই খাবারে রয়েছে পটাশিয়াম। এই খনিজ কিন্তু শরীরের বিভিন্ন কাজে প্রয়োজন পড়ে। ব্লাডপ্রেশার নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে নার্ভ ট্রান্সমিশন, কিডনি ফাংশনের জন্য পটাশিয়াম জরুরি। এছাড়া পেঁয়াজে ক্যালোরি থাকে খুবই কম। ফলে এই সবজি ওজন বাড়তে দেয় না এক ফোঁটাও। অতিরিক্ত ওজনের কারণে যারা চিন্তায় রয়েছেন তারা নিশ্চিন্তে পেঁয়াজ খেতে পারেন।
ফ্ল্যাভনয়েড এবং সালফারের মতো উপাদান ব্যাকটেরিয়া নাশক হিসেবেই পরিচিত। পেঁয়াজের মধ্যে এই দুটি উপাদানই যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। তাই নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে প্রদাহজনিত সমস্যা সহজেই এড়ানো যায়।
টকজাতীয় ফলের মতোই পেঁয়াজের মধ্যেও ভিটামিন সি থাকে। আর থাকে ভিটামিন বি৬। হজম ক্ষমতাকে শক্তিশালী করা থেকে স্নায়ুতন্ত্রের কাজ স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে এই উপাদানগুলি। তবে কারও যদি হজমের গোলমাল থাকে সে ক্ষেত্রে রাতে তা না খাওয়াই ভাল। আবার সকালে জলখাবারে কাঁচা পেঁয়াজ খেলে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। তবে, পেঁয়াজের মধ্যে যে সব উপাদান রয়েছে, তা আদতে শরীরের জন্য ভাল। তা ছাড়া গরমকালে কাঁচা পেঁয়াজ খেলে শরীরও ঠান্ডা রাখে।
কাঁচা পেঁয়াজে রয়েছে প্রচুর ফাইবার যা খাবার হজমে সাহায্য করে, শরীর থেকে টক্সিন বার করে দেয়। ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়। তাছাড়া ফাইবার এবং প্রি-বায়োটিকের উৎস পেঁয়াজ, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। বিশেষ করে এই মরসুম বদলের সময়।
হার্ট ও চোখেরও বন্ধু এই সবজি। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর পেঁয়াজ, ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারে। ফলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে যায় অনেকটাই। পেঁয়াজে রয়েছে সেলেনিয়াম, যা শরীরে গিয়ে ভিটামিন ই-তে রূপান্তরিত হয়। এই ভিটামিন চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ ভাবে উপকারী।
