আজকাল ওয়েবডেস্ক: গালে দাড়ির বৃদ্ধি মূলত জেনেটিক্স অর্থাৎ জিনের প্রভাব এবং হরমোনের (বিশেষ করে টেস্টোস্টেরন) উপর নির্ভর করে। তাই অনেকে চাইলেও ঠিক মতো দাড়ি বাড়াতে পারেন না। কারও আবার কয়েক গুচ্ছ দাড়ি ওঠে কিন্তু কিছু কিছু জায়গা ফাঁকা থেকে যায়। এই ধরনের সমস্যা দূর করতে কাজে আসতে পারে কিছু ঘরোয়া টোটকা।

১। নিয়মিত ব্যায়াম করুন: শরীরচর্চা এবং ব্যায়াম টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, যা দাড়ির বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই নিয়মিত শরীরচর্চা করলে দাড়ির বৃদ্ধিতেও পরোক্ষ প্রভাব পড়ে। এছাড়া, ব্যায়াম শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, যা দাড়ির ফলিকলগুলিতে পুষ্টি পৌঁছাতে সাহায্য করে।

২। আমলকীর তেল: এটি চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে বলে মনে করেন অনেকে। সপ্তাহে ২-৩ বার গালে আমলকীর রস লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে পারেন।

৩। ক্যাস্টর অয়েল: নারকেল তেলের সঙ্গে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে হালকা গরম করে গালে কিছুক্ষণ মালিশ করুন। ক্যাস্টর অয়েল দাড়ির ঘনত্ব বাড়ায়, মালিশ রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। পাশাপাশি মুখের ত্বক পরিষ্কার রাখুন এবং নিয়মিত এক্সফোলিয়েট (মৃত কোষ দূর) করুন। এতে দাড়ির ফলিকল পরিষ্কার থাকে এবং লোম সহজে গজাতে পারে।

৪। পেঁয়াজের রস: পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকে, যা কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। কোলাজেন দাড়ির বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে পেঁয়াজ থেকে ত্বকে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরির আশঙ্কা থাকে। তাই আগে অল্প করে লাগিয়ে পরীক্ষা করে নিন। 

৫।।পুষ্টিকর খাবার: খাদ্যতালিকায় প্রোটিন, ভিটামিন (যেমন- বায়োটিন, ভিটামিন এ, সি, ই) এবং মিনারেল (যেমন- জিঙ্ক, আয়রন) সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন। ডিম, বাদাম, পালং শাক, মিষ্টি আলু, মাছ ইত্যাদি দাড়ির স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। স্বাস্থ্যকর খাবার চুলের ফলিকলকে পুষ্টি জোগায়।

যদি দাড়ি একেবারেই না গজায় বা খুব পাতলা হয়, তবে এর পেছনে জেনেটিক বা হরমোনজনিত কারণ থাকতে পারে। প্রয়োজনে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।